ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটকদের মন কেড়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৯৪ বার

কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ইতোমধ্যে পর্যটকদের মন কেড়ে নিয়েছে। বিশাল জলরাশির ওপর নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাস হয়েছেন অনেকেই। এমন অপ্রসিদ্ধ জায়গায় নিজের মতো করে ঘুরতে পেরে খুশি তারা। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে নিকলী হাওরের সুনাম। তাই সুযোগ পেলেই ভ্রমণপিপাসুরা ছুটছেন সেখানে।

হাওরে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়বে ছোট ছোট সবুজ গ্রাম। গ্রামের বাজার থেকে কিনে নিতে পারবেন হালকা নাস্তা। খোলা আকাশের নিচে নৌকার ছাদে বসলে পাবেন অদ্ভুত আনন্দ। ঘুরতে ঘুরতে চলে যাবেন ছাতিরচরে। নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে নৌকায় সরাসরি ছাতিরচর যেতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। নৌকাযোগে ৩ ঘণ্টায় অনেক জায়গা ঘুরতে পারবেন।

এখানে সাধারণত ১ ঘণ্টার জন্য ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া নেয়। অবশ্যই ভাড়া করার সময় দামাদামি করে নেবেন। ১৫-২০ জন অনায়াসে নাচানাচি করে ঘুরতে পারবেন এসব নৌকায়। নৌকার সাইজ অনুযায়ী ভাড়া খুব একটা কম-বেশি হয় না। তাই বড় নৌকা নেওয়াই ভালো।

নিকলীতে খাবারের তেমন ব্যবস্থা নেই। বাজারে কয়েকটি রেস্তোরাঁ আছে। এছাড়া বেড়িবাঁধে ঢোকার সময় একটি রেস্তোরাঁ আছে। খাবার ব্যবস্থা হলে পূর্ণিমা রাতে নৌকার ছাদে কাটিয়ে দিতে পারেন রাত। তবে নিরাপত্তার জন্য নিকলী থানায় জানাতে হবে। রাতে অবশ্যই বেড়িবাঁধের কাছাকাছি জায়গায় থাকতে হবে। এছাড়া নিকলী থানা পুলিশের একটি ডাকবাংলো আছে। সেখানে ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে সেটা না হলে কিশোরগঞ্জ শহরে থাকতে পারবেন।

ঢাকার সায়েদাবাদের পাশে গোলাপবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে সোজা পুলেরঘাট যাবেন। পুলেরঘাট থেকে অটোরিকশা দিয়ে নিকলী বেড়িবাঁধ পৌঁছে যাবেন। এছাড়া ঢাকা থেকে সোজা কিশোরগঞ্জ যেতে পারেন। সেখান থেকে নিকলী যাওয়া যায়। কেননা নিকলীর চেয়ে কিশোরগঞ্জ শহরে থাকা-খাওয়ার সুবিধা তুলনামূলক বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পর্যটকদের মন কেড়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর

আপডেট টাইম : ১২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর ইতোমধ্যে পর্যটকদের মন কেড়ে নিয়েছে। বিশাল জলরাশির ওপর নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে উদাস হয়েছেন অনেকেই। এমন অপ্রসিদ্ধ জায়গায় নিজের মতো করে ঘুরতে পেরে খুশি তারা। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে নিকলী হাওরের সুনাম। তাই সুযোগ পেলেই ভ্রমণপিপাসুরা ছুটছেন সেখানে।

হাওরে ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়বে ছোট ছোট সবুজ গ্রাম। গ্রামের বাজার থেকে কিনে নিতে পারবেন হালকা নাস্তা। খোলা আকাশের নিচে নৌকার ছাদে বসলে পাবেন অদ্ভুত আনন্দ। ঘুরতে ঘুরতে চলে যাবেন ছাতিরচরে। নিকলী বেড়িবাঁধ থেকে নৌকায় সরাসরি ছাতিরচর যেতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। নৌকাযোগে ৩ ঘণ্টায় অনেক জায়গা ঘুরতে পারবেন।

এখানে সাধারণত ১ ঘণ্টার জন্য ৭০০-৮০০ টাকা ভাড়া নেয়। অবশ্যই ভাড়া করার সময় দামাদামি করে নেবেন। ১৫-২০ জন অনায়াসে নাচানাচি করে ঘুরতে পারবেন এসব নৌকায়। নৌকার সাইজ অনুযায়ী ভাড়া খুব একটা কম-বেশি হয় না। তাই বড় নৌকা নেওয়াই ভালো।

নিকলীতে খাবারের তেমন ব্যবস্থা নেই। বাজারে কয়েকটি রেস্তোরাঁ আছে। এছাড়া বেড়িবাঁধে ঢোকার সময় একটি রেস্তোরাঁ আছে। খাবার ব্যবস্থা হলে পূর্ণিমা রাতে নৌকার ছাদে কাটিয়ে দিতে পারেন রাত। তবে নিরাপত্তার জন্য নিকলী থানায় জানাতে হবে। রাতে অবশ্যই বেড়িবাঁধের কাছাকাছি জায়গায় থাকতে হবে। এছাড়া নিকলী থানা পুলিশের একটি ডাকবাংলো আছে। সেখানে ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে সেটা না হলে কিশোরগঞ্জ শহরে থাকতে পারবেন।

ঢাকার সায়েদাবাদের পাশে গোলাপবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে সোজা পুলেরঘাট যাবেন। পুলেরঘাট থেকে অটোরিকশা দিয়ে নিকলী বেড়িবাঁধ পৌঁছে যাবেন। এছাড়া ঢাকা থেকে সোজা কিশোরগঞ্জ যেতে পারেন। সেখান থেকে নিকলী যাওয়া যায়। কেননা নিকলীর চেয়ে কিশোরগঞ্জ শহরে থাকা-খাওয়ার সুবিধা তুলনামূলক বেশি।