হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাসহ সারাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু প্রতিরোধ আর প্রতিকার যেন এখন দেশের অন্যতম প্রধান মাথাব্যাথা। ডেঙ্গুর কোনো টিকা বা ওষুধ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে সাবধানতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে অন্যতম একটি উদ্যোগ হলো প্রজেক্ট সিমবা। নিউ ইয়র্ক প্রবাসী তরুণ মিয়ানদাদ খান, এটিঅ্যান্ডটি ওয়্যারলেস এর অটোমেশন ডিরেক্টর এবং সফটওয়্যার ওয়েব টেক ইউএসএ এলএলসি প্রধান নির্বাহী এমনই এক প্রজেক্টের সূচনা করেন। প্রজেক্ট সিমবা এর উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড ও নীলক্ষেত সহ বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হয় ২৫০টিরও বেশি মসকিটো ব্রেসলেট এবং ৫০০টি মসকিটো রিপেল্যান্ট স্টিকার।
প্রতিটি ব্রেসলেটে রয়েছে সাইট্রোনেলা তেল ও লেমনগ্রাস তেল সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান, যা যুগ যুগ ধরে আফ্রিকা সহ অন্যান্য উপমহাদেশে মশা ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নানান ডিজাইনের স্টিকারগুলো পিপারমিন্ট তেল, লেমনগ্রাস তেল ও ইউক্যালিপটাস তেলের সংমিশ্রন সহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে তৈরি, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। নীলক্ষেত প্রাইমারি স্কুলের শিশুদের মধ্যে ৫০০টিরও বেশি এমন স্টিকার বিতরণ করা হয়, যা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। বিতরণ করা ব্রেসলেটগুলো ১৭ দিন পর্যন্ত সুরক্ষা প্রদান করে, যা পায়ে কিংবা হাতে পরিধান করা যায়। মশা ও পোকামাকড় প্রতিরোধক এই পণ্যগুলো অ্যামাজন ডটকমে (amazon.com) পাওয়া যায়। প্রতিটি ব্রেসলেটের বাজারমূল্য ১১০ থেকে ১২৫ টাকা। স্টিকারের বাজারমূল্য গড়ে ২৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত।
লেমনগ্রাস তেল সহ বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব উপাদান মশার প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করার সচেতনতা বৃদ্ধি করাই প্রজেক্ট সিমবার মূল লক্ষ্য। বিশ্বে লেমনগ্রাসের অন্যতম শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ ভারত। বাংলাদেশে লেমনগ্রাস প্রাকৃতিকভাবে উত্তর ও পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলে জন্মে থাকে।
উল্লেখ্য, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী তরুণ মিয়ানদাদ খান ২০১১ সালে ঢাকায় অ্যাপলের আইপ্যাডের মতো বাংলাদেশি ব্র্যান্ডেড ট্যাবলেট পিসি ‘ইন্সপায়ার’ উন্মোচন করেছিলেন।
ফেসবুক এবং টুইটারে প্রজেক্ট সিমবা অনুসরণ করা যাবে #ProjectSimba-এর মাধ্যমে।