ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলপাই পাতা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ২২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জলপাইয়ের তেলের গুণের কথা তো প্রায় সবাই জানি। তবে জানেন কি জলপাই গাছের পাতারও রয়েছে জাদুকরি উপকারিতা। প্রাচীন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাগুলোতেও এটি ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো উঠে এসেছে।

মূলত ফিটোকেমিক্যাল নামক উপাদান থেকে সব স্বাস্থ্যকর গুণের শুরু। ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় গাছগাছালি বা উদ্ভিদের মধ্যে। কীটপতঙ্গ থেকে এটি গাছপালাকে সুরক্ষা দেয়। যখন আমরা সেই গাছের লতাপাতা খাই, ফিটোকেমিক্যাল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।

জলপাইয়ের পাতার মধ্যে অলিওরোপিয়েন নামক এক ধরনের ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায়। এর রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে থাকা অলিওরোপিয়েন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি রক্তনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কমায়। এ ছাড়া করনারি আর্টারিতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে কাজ করে।

ডায়াবেটিস : গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পাতা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। জলপাইয়ের পাতা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যুগুলোকে সুরক্ষা দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে : জলপাইয়ের পাতার নির্যাস স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার তৈরিকারী কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এ ছাড়া টিউমারের বৃদ্ধিও কমিয়ে দেয়।

নিউরোপ্যাথি : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি উপাদান। এটি মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়; কেন্দ্রীয় স্নায়ু পদ্ধতিকে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া এটি প্রবীণ বয়সের পারকিনসন এবং স্মৃতিভ্রম রোগও প্রতিরোধ করে।

অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকেটিরিয়াল উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি র্যা ডিকেল প্রতিরোধ করে। জলপাইয়ের পাতা প্রদাহ থেকে রেহাই দেয়।

হাড়ের গঠন : ২০১১ সালে স্পেনে একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, অলিওরোপিয়েন হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া প্রতিরোধ করে। হাড় ক্ষয় রোগের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া এই পাতা হাড় তৈরিকারী কোষকে তৈরি হতে উদ্দীপ্ত করে। একে মোটামুটি নিরাপদ খাবারই বলা যায়। জলপাইয়ের পাতার নির্যাস তরল আকারে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। জলপাইয়ের পাতার চা বানিয়েও খেতে পারেন।

তবে যদি কেউ কেমোথেরাপি নেয়, এটি না গ্রহণ করাই ঠিক হবে। আর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, যে কোনো কিছু গ্রহণের আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জলপাই পাতা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে

আপডেট টাইম : ১১:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জলপাইয়ের তেলের গুণের কথা তো প্রায় সবাই জানি। তবে জানেন কি জলপাই গাছের পাতারও রয়েছে জাদুকরি উপকারিতা। প্রাচীন সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের গবেষণাগুলোতেও এটি ব্যবহারের ইতিবাচক দিকগুলো উঠে এসেছে।

মূলত ফিটোকেমিক্যাল নামক উপাদান থেকে সব স্বাস্থ্যকর গুণের শুরু। ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় গাছগাছালি বা উদ্ভিদের মধ্যে। কীটপতঙ্গ থেকে এটি গাছপালাকে সুরক্ষা দেয়। যখন আমরা সেই গাছের লতাপাতা খাই, ফিটোকেমিক্যাল আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।

জলপাইয়ের পাতার মধ্যে অলিওরোপিয়েন নামক এক ধরনের ফিটোকেমিক্যাল পাওয়া যায়। এর রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে থাকা অলিওরোপিয়েন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি রক্তনালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কমায়। এ ছাড়া করনারি আর্টারিতে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে কাজ করে।

ডায়াবেটিস : গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পাতা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। জলপাইয়ের পাতা শরীরের স্বাস্থ্যকর টিস্যুগুলোকে সুরক্ষা দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে : জলপাইয়ের পাতার নির্যাস স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ক্যানসার তৈরিকারী কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এ ছাড়া টিউমারের বৃদ্ধিও কমিয়ে দেয়।

নিউরোপ্যাথি : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি উপাদান। এটি মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়; কেন্দ্রীয় স্নায়ু পদ্ধতিকে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া এটি প্রবীণ বয়সের পারকিনসন এবং স্মৃতিভ্রম রোগও প্রতিরোধ করে।

অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান : জলপাইয়ের পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকেটিরিয়াল উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি ফ্রি র্যা ডিকেল প্রতিরোধ করে। জলপাইয়ের পাতা প্রদাহ থেকে রেহাই দেয়।

হাড়ের গঠন : ২০১১ সালে স্পেনে একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, অলিওরোপিয়েন হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া প্রতিরোধ করে। হাড় ক্ষয় রোগের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া এই পাতা হাড় তৈরিকারী কোষকে তৈরি হতে উদ্দীপ্ত করে। একে মোটামুটি নিরাপদ খাবারই বলা যায়। জলপাইয়ের পাতার নির্যাস তরল আকারে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন। জলপাইয়ের পাতার চা বানিয়েও খেতে পারেন।

তবে যদি কেউ কেমোথেরাপি নেয়, এটি না গ্রহণ করাই ঠিক হবে। আর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, যে কোনো কিছু গ্রহণের আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।