পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় বা ফিল্ম পার্সোনালিটি আনন্দ পট্টবর্ধনের পথে হাঁটলেন না বিদ্যা বালন। প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় পুরস্কার ফেরত দিতে চান না নায়িকা। তাঁর সাফ যুক্তি, ‘‘দেশ আমাকে এই সম্মান দিয়েছেন। দেশের সরকারের থেকে স্বীকৃতি পেয়েছি। তাই তা ফিরিয়ে দেব না।’’ ২০১২-তে ‘ডার্টি পিকচার’-এর জন্য জাতীয় পুরস্কার পান বিদ্যা। ইতিমধ্যেই দেশজোড়া অসহিষ্ণুতা ও এফটিআইআই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের নীরবতার প্রতিবাদ জানিয়ে পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন সিনে জগতের দশ জন নক্ষত্র।
সরকার-বিরোধিতায় সরব ইতিহাসবিদেরাও। গেরুয়া শিবিরের অতিসক্রিয়তার প্রতিবাদে নিজের পদ্মভূষণ পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বর্ষীয়ান বিজ্ঞানী পি এম ভার্গব। তা ছাড়া, পরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় অসন্তোষ ছড়ানো ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে থাকা ১৩৫ জন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা রাষ্ট্রপতির কাছে ই-মেলে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠান।
অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে এর আগে বেশ কয়েক জন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। পরে সাহিত্য অকাদেমির পক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলা অসহিষ্ণুতার নানা ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে, গোড়া থেকেই এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা দেশ যখন তাঁর বিবৃতির দাবিতে সরব হয়ে ওঠে, তিনি সামান্য কয়েকটা কথা বলে দায়িত্ব এড়িয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে প্রতিবাদ কমেনি। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যার সিদ্ধান্তর সমালোচনাও শুরু হয়েছে কোনও কোনও মহলে। খবর-আনন্দবাজার