হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে নুসরাতের বিয়ের খবরই টলিপাড়ার হটকেক। বিদেশে গিয়ে এক মনোরম ডেস্টিনেশনে বিপুল খরচে বিলাসবহুল বিয়ে সারলেন বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। হলদি, মেহেন্দি, সঙ্গীত, ফেরা আর হোয়াইট ওয়েডিং-সব অনুষ্ঠানই একেবারে আগাগোড়া পারফেক্ট। সঙ্গে সমুদ্রের ধারে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি। বাদ যায়নি কোনও রসদই।
তবে প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানটি যে তুরস্কে উড়ে যাওয়ার পর শুরু হয়েছিল এমনটা কিন্তু নয়। কলকাতাতেই হয়েছিল অনুষ্ঠানের সূচনা। আইবুড়ো থেকে গায়ে হলুদ, আর পাঁচটা বাঙালি বিয়ের মতোই রীতি মেনে হয়েছে সব আচারই।
অন্যদিকে টলিউডের আরেক নায়িকা মিমি চক্রবর্তী তার বন্ধুকে বিভিন্ন পদ সাজিয়ে আইবুড়ো ভাত খাওয়ান। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছিলো।
একটা কথা ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে খুব প্রচলিত মিমি আর নুসরাত নাকি খুব ভাল বন্ধু। নায়িকারা নাকি ভাল বন্ধু হতে পারেন না। এই অপবাদ ঘুচিয়ে দিয়েছেন মিমি-নুসরাত।
অভিনয় থেকে এক সঙ্গে ভোটের ময়দানে এসেছিলেন। আর সেখানেও ছক্কা হাকিয়েছেন দু’জনেই। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে দু’জনেই পাড়ি দিয়ে সংসদ ভবনে।
আবার নুসরাতের বিয়েতে নিমন্ত্রতের তালিকা ছিল এক্কেবারেই হাতে গোণা। জনাশয়েক অতিথি অংশ নিয়েছিলেন নায়িকার বিয়ের অনুষ্ঠানে। আর সেখানে ইন্ডাস্ট্রি থেকে একমাত্র হাজির ছিলেন মিমি।
নুসরাতের জীবনের বিশেষ দিনটিতে চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করেছেন মিমিও। আর সেই মুহূর্তের ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন মিমি নিজে। সেখানে নুসরাতের স্বামী নিখিলের সঙ্গে পোজ দিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন মিমি।
যেখানে নিখিলকে আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছে মিমিকে। আসলে মিমি-নুসরাতের বন্ধু তো বটেই। সেই সঙ্গে নিখিলেরও বন্ধু। আর বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ আর শুভেচ্ছা বিনিময় করতেই এই আলিঙ্গন।
উল্লেখ্য, মুসলিম পরিবারের মেয়ে নুসরাত জাহান। বাবা হাজী মুহাম্মদ শাহজাহান। ১৯৯০ সালের ৮ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার মা-ও একজন অভিনেত্রী ছিলেন। ২০১০ সালে ফেয়ার ওয়ান মিস কলকাতা নামক একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হন। তার সৌন্দর্যের কারণে তিনি মডেলিং-এ সুযোগ পান। এরপর তিনি কলকাতার সুপারস্টার জিৎ-এর বিপরীতে এবং রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় ‘শত্রু’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পশ্চিম বাংলায় সুপরিচিত হন। প্রথম ছবি শত্রুর পরেই তার ভক্তসংখ্যা প্রমাণ করে, ভবিষ্যতে সে অভিনয় জগতকে কাঁপাতে সক্ষম।
এর প্রায় দুই বছর পর মুক্তি পায় দেবের বিপরীতে এবং রাজিব বিশ্বাস পরিচালিত তার দ্বিতীয় ছবি ‘খোকা ৪২০’। এই চলচ্চিত্রটি অত্যধিক জনপ্রিয়তা তাকে সাফল্যের অন্যতম শিখরে নিয়ে যায়। এরপর মুক্তি পায় অঙ্কুশ হাজরার বিপরীতে ‘খিলাড়ি’ ছবিটি। তিনটি ছবিতেই এসকে মুভিজ প্রযোজনা করে। নুসরাত জাহান একের পর এক ব্লকবাস্টার দর্শকদের উপহার দিয়ে গেছেন।