ঢাকা ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকার খাল উদ্ধারে নামছে সেনাবাহিনী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯
  • ২৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানী ঢাকার খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগির অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

শনিবার সকালে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড দামপাড়া আর্মি ক্যাম্পে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগির শুরু করবে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা ফেললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত চারটি সভায় জরিমানার বিষয়টি উঠে এসেছে। সচেতনতার জন্য র‌্যালি, মাইকিং কিংবা সমন্বয় করলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়’।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, এজন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘কাজের প্রয়োজনে খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কোনো খালে বাঁধ থাকবে না। খালগুলো শতভাগ বাঁধমুক্ত করা হবে।’

তিনি বলেন, অনেক খাল থেকে ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও খালগুলো ময়লায় ভরাট হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা জরুরি। এজন্য স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব ছাড়বে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব শেষ করবে।

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে চার ধাপে বৈঠক করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের পরিকল্পনাগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে কাজ চলছে। আগের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম হবে বলে আশা করছি।’

সভায় স্লাইড প্রেজেন্টেশনে মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ১২টি কারণ, প্রকল্পের আওতায় ৮টি কাজ ও চলমান কাজের সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ময়লা না ফেলার জন্য জনসচেতনা তৈরি, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ বা কালভার্টের থেকে ইউটিলিটি লাইন অপসারণ, সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জলাবদ্ধতা সমস্যা স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রস্তাবিত ৪০টি টাইডাল রেগুলেটর একই সঙ্গে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রকল্প কর্মকর্তা-১ মেজর মাহমুদ হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা-২ মেজর শাহনেওয়াজ মাহমুদ, প্রকল্প জেসিও ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন, প্রকল্প এনসিও সার্জেন্ট মো. আব্দুল হাইসহ সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ঢাকার খাল উদ্ধারে নামছে সেনাবাহিনী

আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানী ঢাকার খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগির অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

শনিবার সকালে ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড দামপাড়া আর্মি ক্যাম্পে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শিগগির শুরু করবে সেনাবাহিনী। এজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা ফেললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত চারটি সভায় জরিমানার বিষয়টি উঠে এসেছে। সচেতনতার জন্য র‌্যালি, মাইকিং কিংবা সমন্বয় করলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়’।

শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, এজন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘কাজের প্রয়োজনে খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কোনো খালে বাঁধ থাকবে না। খালগুলো শতভাগ বাঁধমুক্ত করা হবে।’

তিনি বলেন, অনেক খাল থেকে ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও খালগুলো ময়লায় ভরাট হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা জরুরি। এজন্য স্থানীয়ভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একাধিক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব ছাড়বে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী বলেন, শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে সেনাবাহিনী দায়িত্ব শেষ করবে।

আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে চার ধাপে বৈঠক করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের পরিকল্পনাগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জলাবদ্ধতার প্রকোপ কমাতে কাজ চলছে। আগের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা কম হবে বলে আশা করছি।’

সভায় স্লাইড প্রেজেন্টেশনে মাধ্যমে জলাবদ্ধতার ১২টি কারণ, প্রকল্পের আওতায় ৮টি কাজ ও চলমান কাজের সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ময়লা না ফেলার জন্য জনসচেতনা তৈরি, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ বা কালভার্টের থেকে ইউটিলিটি লাইন অপসারণ, সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও জলাবদ্ধতা সমস্যা স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রস্তাবিত ৪০টি টাইডাল রেগুলেটর একই সঙ্গে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।

এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, প্রকল্প কর্মকর্তা-১ মেজর মাহমুদ হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা-২ মেজর শাহনেওয়াজ মাহমুদ, প্রকল্প জেসিও ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হেলাল উদ্দিন, প্রকল্প এনসিও সার্জেন্ট মো. আব্দুল হাইসহ সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।