ফার্মেসিগুলোতে দিনে দুরে বিভিন্ন ভাবে কাটা হচ্ছে সাধারণ রোগিদের পকেট। লোক বুঝে দেওয়া চচ্ছে নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফার্মেসিগুলোতে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধের রমরমা ব্যবসা চলছে। বর্তমানে শুধু ফামের্সিতেই নয় মুদি দোকান থেকে শুরু করে ভিন্ন খাবার দোকানে হরহামেশাই বেচাকেনা হচ্ছে এসব নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ। যা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের আশপাশে গড়ে উঠেছে ফামের্সি। এসব ফামের্সিতে বেশির ভাগ ঔষধ কেনে ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে থেকে আগত মধ্যবৃত্ত ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষ। এদেরকে বিভিন্ন কৌঁশলে দোকানিরা ধরিয়ে দিচ্ছেন নকল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ।
কথা হয় শেরপুর থেকে ঢাকা মেডিকেলে আশা ফাহমিদা আকতারের সাথে তিনি বলেন, সকালে হাসপাতালের গেটের কাছে সোহাগ ফামের্সি থেকে ঔষধ কিনে আমার স্বামীকে খাওয়াই। খাওয়ানোর একটু পর সে আরও অসুস্থ হয়ে পরে। আমি দ্রুত ডাক্তাকে ডাকি ডাক্তার আমার ঔষধগুলো দেখে বলেন আপনি মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খাইয়েছেন তাই এমনটা হয়েছে। এসময় ফাহমিদা বলেন ঔষধের উপরে সব লেখা পড়তে পারিনা বলেই আমাকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দেওয়া হযেছে।
পরে তার কথার সূত্র ধরে সোহাগ ফামের্সির মালিক মোতাহার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার দোকানে একজন কর্মচারি নতুন এসেছে সে বুঝতে পারেনি তাই ভূল করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ দিযেছে। আমরা ঐ মহিলার সাথে কথা বলেছি আমি তাকে টাকা দিতে পারব না তবে ঐ ঔষধ রিপ্লেস দিতে পারব।
ধানমন্ডির রণেদা ফামের্সিতে ঔষধ কিনতে আশা এক ক্রেতা বলছেন আমাদের ভূলভাল বুঝিয়ে নকল ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারের লেখা কোম্পানির ঔষধের বিপরীতে ভেজাল ঔষধ ধরিয়ে দিয়ে তারা বলছে, এই কোম্পানির ঔষধ আমাদের কাছে নেই একই কাজ করবে অন্য কোম্পানির ঔষধ আছে। এভাবে তারা নকল ঔষধ ক্রেতাদের হাতে ধরে দিচ্ছে।
তিনি ক্রেতা আরও বলেন, কয়েকটি কোম্পানি ছাড়া বাঁকি গুলোর সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকেনা । তাছাড়া সব ঔষধ সঠিক মূল্য জানা সম্ভব নয়্। তাই তারা লোক বুঝে ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছে।
ক্যাব সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ২০০ থেকে ২২০ টিরও বেশি ঔষধ কম্পানি আছে। আর ফামের্সির সঠিক সংখ্যা আমাদের জানা নেই। এসব কোম্পানি ও ফামের্সি গুলোতে সরকার ও বিএসটিআই নজর না দিলে পরিস্তিতি আরও ভয়াবহ দিকে যাবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, প্রশাসনের পক্ষথেকে এসব জায়গায় অভিযান চালানো হয় এ অভিযান বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনের
সহযোগিতা নিয়ে বিএসটিআই বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে। কেউ যদি এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।