স্লিম প্রজাতি পাখিদের ঠোঁট ও লেজ খানিকটা লম্বা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাথুরে পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা। পাহাড়ের কার্নিশে কিংবা কাঁটা গাছে বিচরণ করে। তবে গাছ-গাছালির চেয়ে বেশির ভাগই পাথুরে এলাকায় বা পাহাড়ের কার্নিশ দেখা যায়। মায়াবি চেহারা। স্লিম গড়ন প্রজাতির অন্যদের তুলনায় সুদর্শনই বটে। তুলনামূলক ঠোঁট ও লেজ খানিকটা লম্বা।

গানের গলা চমৎকার। ধীরলয়ে গান গায়। চলাফেরাও ধীরগতির। বিচরণ করে একাকী। প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। যত্রতত্র দেখা মেলে না। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ ব্যতীত, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ-মধ্য আফ্রিকা ও পশ্চিম আফ্রিকা পর্যন্ত। বিশ্বে এদের অবস্থান সন্তোষজনক।

পাখির বাংলা নাম: ‘লম্বাঠোঁট তুলিকা’, ইংরেজি নাম: ‘লং-বিল্ড পিপিট’ (Long-billed Pipit), বৈজ্ঞানিক নাম: Anthus similis।

প্রজাতি দৈর্ঘ্যে ১৭-২০ সেন্টিমিটার। পুরুষ পাখির ওজন ৪০-৩৫ গ্রাম। স্ত্রী পাখির ওজন ২৮-৩১ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষের চেহারা অভিন্ন। মাথা, ঘাড়, পিঠ ও লেজ বেলে ধূসর। ডানায় গাঢ় বাদামি টান। চোখের ওপর ভ্রুর মতো বাঁকানো ফ্যাকাসে চওয়া টান। দেহতল ফ্যাকাসে। ঠোঁট লম্বা, উপরের অংশ বেলে ধূসর, নিচের অংশ ফ্যাকাসে পা ত্বক বর্ণের। প্রধান খাবার: কীটপতঙ্গ, ঘাসবীজ ইত্যাদি।

প্রজনন সময় মার্চ-এপ্রিল। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে নিজ বাসভূমে। বাসা বানায় শিলা বা মাটির ওপর সরু-নরম লতা বিছিয়ে। ডিমের সংখ্যা ২-৪টি। ফুটতে সময় লাগে ১২-১৩ দিন।

লেখক: আলম শাইন

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর