সিলেটের বিশ্বনাথে পুকুরে সোনার কৈ মাছ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদরের রামপাশা রোডস্থ হাজী রুস্তুম আলী ভিলার (কলোনী) একটি পুকুরে ওই কৈ মাছটি পাওয়া যায়। পুকুরে সোনার কৈ পাওয়া গেছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা দেখার জন্য শুক্রবার উৎসুক জনতা ওই কলোনীতে ভিড় করেন। তবে সোনার কৈ মাছ নয়;0 এটি সোনালী রঙের কৈ মাছ। এটা শুধু একটি গুজব বলে আখ্যায়িত করেন এলাকাবাসী। সোনার কৈ মাছ। তাও আবার পুকুরে। এমন খবর সাধারণ মানুষের মনে সৃষ্টি করে নানান রকমে প্রশ্নের। এক পর্যায়ে খবরটি আসে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছেও।
উপজেলার রামপাশা রোডস্থ ‘রুস্তুম আলী ভিলায়’ সাংবাদিকরা গেলে সেখানে দেখা যায় সোনার কৈ মাছটি দেখার জন্য উৎসূক জনতার ভিড়। খবরটি শুনে শুক্রবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে একটি পাত্রে আনা হয় সোনালী রঙের সেই তরতাজা কৈ মাছটি।
পুকুরে সোনার কৈ!স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর ধরে বিশ্বনাথে বসবাসরত নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার আমগুয়াইন গ্রামের এখলাছ মিয়া সপরিবারে ‘রুস্তুম আলী ভিলাতে’ বসবাস করে আসছেন। এখলাছ মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম সম্প্রতি এক রাতে স্বপ্নে দেখেছেন তাদের কলোনীর পুকুরে সোনার কৈ-মাগুর আছে। তিনি স্বপ্নে দেখার বিষয়টি কলোনীর সত্ত্বাধিকারী ছুরাব আলীকেও অবহিত করেন। আর শুক্রবার পুকুরে গোসল করার সময় মাজেদার পুত্র সুমন আহমদ (১২) কাছে ধরা পরে সোনালী রঙের কৈ মাছটি।
আশপাশ এলাকায় খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সোনার কৈ মাছটি দেখার জন্য দল বেঁধে আসা সাধারণ মানুষের মতো কলোনীর সত্ত্বাধিকার ছুরাব আলীও আসেন। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে স্বপ্নে দেখার বিষয়টি এড়িয়ে যান মাজেদা। তবে এর সত্যতা স্বীকার করেন ছুরাব আলী।
সাংবাদিকদের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পুকুর পরিদর্শনে গেলে কলোনীর বাসিন্দারা জানান, পুকুরে সোনার একটি মাগুর মাছও আছে। যা কলোনীর বাসিন্দাদের অনেকেই দেখেছেন বলেও জানান। তবে সেইটিও সোনালী রঙের বলে তারা জানান।
কলোনীর সত্ত্বাধিকারী ছুরাব আলী জানান, পুকুরে পাওয়া মাছটি হযরত শাহজালাল (রা.) এর মাজারে প্রেরণ করা হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক বলেন, একটি স্থানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী কিংবা আলো কম পাওয়ার কারণে মাছের কালার পরিবর্তন হতে পারে।