জানেন কি, কঠোর মায়েদের সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাবা-মা প্রত্যেক সন্তানের বেড়ে ওঠার পিছনে সব থেকে বেশি অবদান রাখে। প্রত্যেক বাবা- মা চায় সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক। সন্তান সফলতার চূড়ায় যাক, এই প্রত্যাশায় তাদের চেষ্টারও কোনো কমতি রাখে না। তাইতো বাবা-মা সন্তানের প্রতি কখনো নরম আবার কখনো কঠোর হয়ে থাকে।
তবে এক্ষেত্রে অনেক মায়েদেরই সন্তানদের প্রতি কঠোর হতে দেখা যায়। কারণ মাদেরকেই সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় দিতে হয়। তাই তাদের ভবিষ্যতের জন্য কঠোরতা দরকার হয়। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ সন্তানেরাই এমন পরিবারে বড় হয়েছি যেখানে মায়েরা ছিলেন আমাদের চির শত্রু! নিত্যদিন পেছনে লেগে থাকা এবং বলে বলে কাজ করানোর জন্য হয়তো আপনার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিলো। আর এই ব্যাপারটাকে অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।

কিন্তু জানেন কি? গবেষকদের মতে, কঠোর মায়েদের সন্তানেরাই ভবিষ্যতে সফলতার মুকুট পরিধান করতে সমর্থ হয়। সুতরাং, তখন অসহ্য মনে হলেও ভবিষ্যতে আপনি আপনার মা’কে বারংবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন। এটিই সত্য!

ইউনিভার্সিটি অব এসেক্সের একজন অধ্যাপক এরিকা র্যাসকন, একটি গবেষণা চালিয়েছেন যেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে কঠোর মায়েদের সন্তানের জীবন সাফল্যে পরিপূর্ণ। কারণ সে সকল মায়েরা সন্তানদের শৈশবে শাসন করেছিলেন। উক্ত গবেষণা চালানো হয় ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের ভেতর ১৫০০০ এর অধিক বাচ্চাদের উপর, যাদের বয়সসীমা ছিলো ১৩-১৪ বছর।

র‍্যাসকনের মতে, শৈশব থেকেই সন্তানের পড়াশোনার ব্যাপারে পিতা-মাতার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাস তাদেরকে খ্যাতির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আমাদের গবেষণা এটিই প্রমাণ করেছে। যে সকল বাচ্চার মায়েদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিলো তারা বর্তমানে অধিক আত্মবিশ্বাসী এবং নিরাপদ।

গবেষণায় এটিও প্রমাণিত হয়, যে সকল মেয়েদের মায়েরা অতিরিক্ত কঠোর ছিলেন তাদের মধ্যে অল্প বয়সে মা হবার প্রবণতা শতকরা চার ভাগ কম। শক্ত ও রাগী মায়েদের সন্তানেরা দ্রুত গ্র্যাজুয়েট হতে পেরেছে এবং ভালো চাকরিও পেয়েছে। এটা শুনতে অবিশ্বাস্য ও হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু ঘটনা সত্য! অনেক বাচ্চারাই তাদের মায়েদের সাক্ষাৎ যম মনে করে থাকে। কিন্তু আমরা নিশ্চয়তা সহকারে বলছি যে, এ শাসন আপনাকে পরবর্তী জীবনে বেশ সাহায্য করবে। বয়স্ক হবার পর আপনি মা’কে বারবার ধন্যবাদ জানাবেন সুন্দর ও অভাবনীয় একটি জীবনের জন্যে। শুধু তাই নয়, সে শিক্ষায় আপনি আপনার সন্তানকেও শিক্ষিত করতে চাইবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর