হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশমিশ বেশ সুস্বাদু একটি খাবার। মিষ্টি স্বাদের শুষ্ক এই ফলটি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এবং বৈচিত্র্য আনতে রান্নায় অনেকেই এটি ব্যবহার করে থাকেন। এ ছাড়া এটি স্ন্যাকস হিসেবে খেতেও বেশ মজাদার।
কিশমিশ সাধারণ তিনটি ভিন্ন রঙের হয়-কালো, সবুজ ও সোনালি। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, ফলিক এসিড, ক্যারোটিনেস, লিইটেইন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।
শরীরের শক্তি, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণে কিশমিশ বেশ উপকারী একটি খাবার। এটি রক্তস্বল্পতা রোধ করে, চোখ এবং দাঁতকে ভালো রাখে। এ ছাড়া কিশমিশের মধ্যে রয়েছে আরো অনেক গুণ। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে কিশমিশের অসাধারণ কিছু গুণের কথা।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে
যাঁরা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের রক্ত বাড়াতে কিশমিশ ভালো একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে আয়রন এবং বি কমপ্লেক্স। নিয়মিত কিশমিশ খেলে রক্তস্বল্পতা কমে।
বাজে কোলেস্টেরল দূর করে
কিশমিশ শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের (এলডিএল) সঙ্গে লড়াই করে। কালো কিশমিশে একেবারেই কোলেস্টেরল থাকে না। তাই এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
অস্টিওপোরোসিস
কিশমিশের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য ভালো। ক্যালসিয়ামের অভাব হলে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এই অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে এবং হাড়কে সুরক্ষা দেয়।
এসিডিটি দূর করে
এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এসিডিটি কমায়। এটি কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
চোখের সুরক্ষায়
কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। এটি দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞরা তাই চোখের সুরক্ষায় কিশমিশকে উৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে বলে থাকেন।
দাঁতের সুরক্ষায়
এর মধ্যে থাকা অলিয়ানোলিক এসিড দাঁতের ক্ষয় এবং গর্ত হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই এই উপকারগুলো পেতে কিশমিশকে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন।