ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রথমবারের মতো মঙ্গলের ‘চাপা কান্না’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৩৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মঙ্গল গ্রহটির অভ্যন্তরের তথ্য সম্পর্কে ধারণা পেতে নতুন মিশনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো মঙ্গলের ভেতর থেকে শোনা গেল ‘চাপা কান্না’, ‘গোঙানি’র আওয়াজ! থরথর করে কেঁপে উঠল লাল গ্রহ।

শুধুই এক দিনের ঘটনা নয়, দফায় দফায় সেই গোঙানির আওয়াজ শোনা গেল চার দিন। যা অনুভব করার জন্য প্রায় ৫০ বছর ধরে অপেক্ষায় বসেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যার নাম- ‘মার্শকোয়েক’।

যা বুঝিয়ে দিল, এখনও পুরোপুরি মরে যায়নি লাল গ্রহ। এখনও ‘বিপ্লব স্পন্দিত’ মঙ্গলের বুকে! বদলাচ্ছে তার গঠন। বদলাচ্ছে তার অন্দর। আর সেই বদলানোর জাদুকাঠিটা এখনও রয়েছে মঙ্গলের বুকের গভীরে লুকিয়ে থাকা কোনও ‘ম্যাজিশিয়ান’-এর হাতে!

ভূমিকম্পে যেমন থরথর করে কেঁপে ওঠে পৃথিবী. দুলে ওঠে মাটি, ফুলে-ফেঁপে ওঠে সাগর, মহাসাগর, এই প্রথম দেখা গেল ঠিক তেমনটাই ঘটে মঙ্গলেও। যার জেরে মঙ্গলের অন্দরের সেই চাপা কান্না শুনল নাসার পাঠানো মহাকাশযান ‘ইনসাইট’-এর ল্যান্ডারে থাকা ‘সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্টিরিয়র স্ট্রাকচার’ (সিস) যন্ত্রটি। যা আদতে একটি ফরাসি যন্ত্র। শুধু সেই চাপা কান্না শুনেই চুপ করে বসে থাকেনি ‘সিস’, রেকর্ড করে তা পাঠিয়েও দিয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশনে। তার পর সেই শব্দকে আমাদের শ্রবণযোগ্য করে তোলা হয়েছে। আনন্দবাজার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রথমবারের মতো মঙ্গলের ‘চাপা কান্না’

আপডেট টাইম : ০২:০৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মঙ্গল গ্রহটির অভ্যন্তরের তথ্য সম্পর্কে ধারণা পেতে নতুন মিশনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো মঙ্গলের ভেতর থেকে শোনা গেল ‘চাপা কান্না’, ‘গোঙানি’র আওয়াজ! থরথর করে কেঁপে উঠল লাল গ্রহ।

শুধুই এক দিনের ঘটনা নয়, দফায় দফায় সেই গোঙানির আওয়াজ শোনা গেল চার দিন। যা অনুভব করার জন্য প্রায় ৫০ বছর ধরে অপেক্ষায় বসেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যার নাম- ‘মার্শকোয়েক’।

যা বুঝিয়ে দিল, এখনও পুরোপুরি মরে যায়নি লাল গ্রহ। এখনও ‘বিপ্লব স্পন্দিত’ মঙ্গলের বুকে! বদলাচ্ছে তার গঠন। বদলাচ্ছে তার অন্দর। আর সেই বদলানোর জাদুকাঠিটা এখনও রয়েছে মঙ্গলের বুকের গভীরে লুকিয়ে থাকা কোনও ‘ম্যাজিশিয়ান’-এর হাতে!

ভূমিকম্পে যেমন থরথর করে কেঁপে ওঠে পৃথিবী. দুলে ওঠে মাটি, ফুলে-ফেঁপে ওঠে সাগর, মহাসাগর, এই প্রথম দেখা গেল ঠিক তেমনটাই ঘটে মঙ্গলেও। যার জেরে মঙ্গলের অন্দরের সেই চাপা কান্না শুনল নাসার পাঠানো মহাকাশযান ‘ইনসাইট’-এর ল্যান্ডারে থাকা ‘সিসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইন্টিরিয়র স্ট্রাকচার’ (সিস) যন্ত্রটি। যা আদতে একটি ফরাসি যন্ত্র। শুধু সেই চাপা কান্না শুনেই চুপ করে বসে থাকেনি ‘সিস’, রেকর্ড করে তা পাঠিয়েও দিয়েছে গ্রাউন্ড স্টেশনে। তার পর সেই শব্দকে আমাদের শ্রবণযোগ্য করে তোলা হয়েছে। আনন্দবাজার।