ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুলারের প্রতিবেদন প্রকাশের পর জনপ্রিয়তা কমেছে ট্রাম্পের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯
  • ২১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর জনপ্রিয়তা কমেছে ট্রাম্পের। মুলারের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দফায় দফায় তার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স/ইপসোস-এর জরিপে দেখা গেছে, এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে তিন শতাংশ।

১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। রবার্ট মুলারের ৪৪৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতীয় পর্যায়ে এটিই এ ধরনের প্রথম জরিপ।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অনলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এক হাজার পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এতে অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৯২৪ জন মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল পরিচালিত জরিপে এ হার ছিল ৪০ শতাংশ। তবে এর আগের জরিপে এ হার ছিল ৪৩ শতাংশ।

আইনমন্ত্রী উইলিয়াম বারের কাছে মুলারের রিপোর্ট হস্তান্তরের পর তিন শতাংশ কমে এটি ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।

এদিকে টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, উন্মাদ মুলারের প্রতিবেদনে কিছু ব্যক্তি আমার ব্যাপারে বিবৃতিটি তৈরি করেছে। এটি ট্রাম্প বিদ্বেষী ১৮ জন ক্রুদ্ধ ডেমোক্র্যাটের লেখা, যা মনগড়া ও পুরোপুর অসত্য।

স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের প্রতিবেদনে তার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার ১১টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ট্রাম্পের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে একে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে কংগ্রেসের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে আশঙ্কা করছিলো সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। আর দ্বিতীয়ভাগে রয়েছে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের প্রচেষ্টা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলারের প্রতিবেদন প্রকাশের পর জনপ্রিয়তা কমেছে ট্রাম্পের

আপডেট টাইম : ১১:২২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর জনপ্রিয়তা কমেছে ট্রাম্পের। মুলারের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দফায় দফায় তার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স/ইপসোস-এর জরিপে দেখা গেছে, এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে তিন শতাংশ।

১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ জরিপ চালানো হয়। রবার্ট মুলারের ৪৪৮ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাতীয় পর্যায়ে এটিই এ ধরনের প্রথম জরিপ।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অনলাইনে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে। এক হাজার পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এতে অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৯২৪ জন মুলারের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল পরিচালিত জরিপে এ হার ছিল ৪০ শতাংশ। তবে এর আগের জরিপে এ হার ছিল ৪৩ শতাংশ।

আইনমন্ত্রী উইলিয়াম বারের কাছে মুলারের রিপোর্ট হস্তান্তরের পর তিন শতাংশ কমে এটি ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।

এদিকে টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, উন্মাদ মুলারের প্রতিবেদনে কিছু ব্যক্তি আমার ব্যাপারে বিবৃতিটি তৈরি করেছে। এটি ট্রাম্প বিদ্বেষী ১৮ জন ক্রুদ্ধ ডেমোক্র্যাটের লেখা, যা মনগড়া ও পুরোপুর অসত্য।

স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের প্রতিবেদনে তার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার ১১টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ট্রাম্পের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে একে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে কংগ্রেসের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে আশঙ্কা করছিলো সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। আর দ্বিতীয়ভাগে রয়েছে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের প্রচেষ্টা।