হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জেনেভায় জাতিসংঘের তথ্য সমাজ শীর্ষ সম্মেলন (ডব্লিউএসআইএস) ২০১৯ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন (আইটিইউ) অ্যাওয়ার্ড ‘সার্টিফিকেট অভ এক্সিলেন্স’-এ ভূষিত হয়েছেন। জেনেভায় আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাউ বুধবার (১১ এপ্রিল) ‘সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স’ মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন বলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবারের সম্মেলনে ১৫০টি দেশের ১০০ জনেরও বেশি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীসহ তিন হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
আইটিইউ, ইউনেস্কো, ইউএনডিপি এবং ইউএনসিটিএডি-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘের এ রকম বড় কোনো সামিটে বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হওয়ার ঘটনা তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়াসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি আরও বৃদ্ধি করেছে বলে মনে করে মন্ত্রণালয়।
গত ৮ এপ্রিল শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী এই ফোরামে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সভাসহ শতাধিক সেমিনার ও কর্মশালা হয়েছে। প্রতি বছর ডব্লিউএসআইএসের এই ফোরাম যৌথভাবে আয়োজন করে থাকে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ), ইউনেস্কো, ইউএনডিপি ও ইউএনসিটিএডি।
২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই কার্যক্রম ২০১৪ সালে আইটিইউ এর নজরে আসে এবং সেই বছর তারা দেশব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায় ডিজিটাল সেন্টার বাস্তবায়ন প্রকল্পকে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার প্রদান করে।
এছাড়া ২০১৫ সালে জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ২০১৬ সালে সেবা পদ্ধতি সহজিকরণ-এসপিএস, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন ছাড়পত্র, শিক্ষক বাতায়ন এবং কৃষকের জানালা এবং ২০১৭ সালে মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টেলিমেডিসিন প্রকল্প’, ‘নাগরিক সেবা উদ্ভাবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার‘ এবং ‘ই-নথি’ ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি পুরস্কার অর্জন করে। এ বছরেও বাংলাদেশ একটি উইনার ও ৮টি চ্যাম্পিয়নশিপ পুরস্কার অর্জন করেছে।
সম্মেলনের বিভিন্ন ইভেন্টে মন্ত্রীর উপস্থাপনায় প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও গত দশবছরে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির দেশ থেকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গায় পৌঁছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রাজ্ঞাবান নেতৃত্বের সফলতার চিত্র উঠে আসে। এছাড়াও বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিতে অভাবনীয় রূপান্তরের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট উঠে আসে তার নানা উপস্থাপনায়, যা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশের প্রতি তাদের ইতিবাচক ধারণাকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাউ বাংলাদেশকে অনুসরণের জন্য অন্যদের পরামর্শ প্রদানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রীর সাথে সম্মেলনের সাইড লাইনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে তিনি তার এই আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার ৫ দিনব্যাপী আইসিটি বিশ্বের এই ঐতিহাসিক মিলনমেলার সমাপনী পর্দা নামবে।