ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন কারণে হাওর অঞ্চলে বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর অঞ্চলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা, সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাব- এ তিন কারণে হাওর অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে ‘ফ্ল্যাশ ফ্লোড ফরকাস্টিং অ্যান্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ বিষয়ক ওয়ার্কশপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ.কে এম সাইফুল ইসলাম ‘ওপেন সোর্স বেইসড ফ্ল্যাশ ফ্লোড ফরকাস্টিং অ্যান্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম ফর দ্য নর্দেস্ট হাওর রিজিওন অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের জন্য উন্মুক্ত উৎস ভিত্তিক বন্যার পূর্বাভাস এবং প্রাথমিক সতর্কবাণী ব্যবস্থা তুলে ধরেন।

হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ে নানা সঙ্কটের কথা তুলে ধরে বুয়েটের ভিসি বলেন, দেশের হাওরাঞ্চলগুলোতে যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা ওই অঞ্চলের সমন্বয়হীন উন্নয়নের ফল। যাঁরা উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের অদূরদর্শিতার খেসারত দিচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষ। যদি এই সমন্বয়টা সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে করে তাহলে এ অঞ্চলের মানুষ দুর্যোগের হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, হাওর অঞ্চল বাদ দিয়ে টেকসই ও দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। অন্যান্য এলাকার তুলনায় হাওর অঞ্চল সার্বিক দিক থেকে উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে নিবিড় ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য বিজ্ঞানী, গবেষক ও পরিকল্পনাবিদদের কাজ করতে হবে। বাস্তবমুখি ও বাস্তবায়নযোগ্য গবেষণা ও সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, হাওর সমস্যা গুলো নিয়ে আমি পানি উন্নয় বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সমাধানে এগিয়ে যাব। এ সমস্যা গুলো সমাধানে আমি সবাইকে পাশে চাই।

বক্তারা উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের আগাম বন্যার কারণ চিহ্নিত করে বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা, ধান চাষ ও মাছ উৎপাদনকারীদের পানি ব্যবস্থাপনা দ্বন্দ্ব, সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না হওয়া, সুশাসন সম্পর্কিত সমস্যা ও প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাবে আকস্মিক বন্যার প্রভাব বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ হাওর পাহাড়ের পাদদেশ হওয়ায় এখানে হঠাৎ বন্যা একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

সূত্র- মানবজমিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

তিন কারণে হাওর অঞ্চলে বাড়ছে বন্যার ঝুঁকি

আপডেট টাইম : ০৫:২০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর অঞ্চলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা, সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাব- এ তিন কারণে হাওর অঞ্চলে বন্যার ঝুঁকি বাড়ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে ‘ফ্ল্যাশ ফ্লোড ফরকাস্টিং অ্যান্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম’ বিষয়ক ওয়ার্কশপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ.কে এম সাইফুল ইসলাম ‘ওপেন সোর্স বেইসড ফ্ল্যাশ ফ্লোড ফরকাস্টিং অ্যান্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম ফর দ্য নর্দেস্ট হাওর রিজিওন অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের জন্য উন্মুক্ত উৎস ভিত্তিক বন্যার পূর্বাভাস এবং প্রাথমিক সতর্কবাণী ব্যবস্থা তুলে ধরেন।

হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ে নানা সঙ্কটের কথা তুলে ধরে বুয়েটের ভিসি বলেন, দেশের হাওরাঞ্চলগুলোতে যে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা ওই অঞ্চলের সমন্বয়হীন উন্নয়নের ফল। যাঁরা উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের অদূরদর্শিতার খেসারত দিচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষ। যদি এই সমন্বয়টা সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে করে তাহলে এ অঞ্চলের মানুষ দুর্যোগের হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, হাওর অঞ্চল বাদ দিয়ে টেকসই ও দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। অন্যান্য এলাকার তুলনায় হাওর অঞ্চল সার্বিক দিক থেকে উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে নিবিড় ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য বিজ্ঞানী, গবেষক ও পরিকল্পনাবিদদের কাজ করতে হবে। বাস্তবমুখি ও বাস্তবায়নযোগ্য গবেষণা ও সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, হাওর সমস্যা গুলো নিয়ে আমি পানি উন্নয় বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সমাধানে এগিয়ে যাব। এ সমস্যা গুলো সমাধানে আমি সবাইকে পাশে চাই।

বক্তারা উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলের আগাম বন্যার কারণ চিহ্নিত করে বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা, ধান চাষ ও মাছ উৎপাদনকারীদের পানি ব্যবস্থাপনা দ্বন্দ্ব, সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না হওয়া, সুশাসন সম্পর্কিত সমস্যা ও প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাবে আকস্মিক বন্যার প্রভাব বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ হাওর পাহাড়ের পাদদেশ হওয়ায় এখানে হঠাৎ বন্যা একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।

সূত্র- মানবজমিন