ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম্পিউটার বিজ্ঞানের নোবেল ‘টুরিং’ পুরস্কার পেলেন ৩ জন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯
  • ৪০৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ বছর টুরিং পুরস্কার জিতেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন, যশুয়া বেঙ্গিও এবং ইয়্যান লেকুন। এ পুরস্কারটিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার অভিহিত করা হয়।

ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক এবং এআই বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন পুরস্কার প্রাপ্তির অভিব্যক্তি সম্পর্কে বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা তিনজনই নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছি। অবশেষে স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে। মানুষ এই প্রযুক্তির সঙ্গে আত্মস্থ হতে শুরু করেছে।’

এআই প্রযুক্তি মূলত একটি গভীর স্নায়ু নেটওয়ার্ক যেখানে অনেকগুলো কৃত্রিম নিউরন বিভিন্ন স্তরে ব্যবহার করা হয়। জীবন্ত প্রাণী মস্তিষ্কের গঠনকে অনুকরণ করেই এই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবিত হয়েছে।

এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে স্মার্ট স্পিকার থেকে ফেসবুক-মানুষের দৈনন্দিন সকল কাজেই এআই এর ব্যবহার চোখে পড়ছে। এই ডিপ লার্নিং প্রযুক্তিটিকে খুবই প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চালকবিহীন গাড়ি থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের অন্যান্য সকল প্রযুক্তি সমূহেই এর দেখা মিলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অন্যান্য সকল প্রযুক্তির মতোই এটিও এখনও পর্যন্ত ত্রুটিহীন নয়।

অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি ২০১৯ সালের টুরিং পুরস্কারের জন্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে গবেষণা প্রস্তাব করে। ফলশ্রুতিতে অনেকগুলো একক এবং যৌথ প্রস্তাবনা জমা পড়ে। আর সেখান থেকেই এই তিনজনকে বেছে নেয় সংস্থাটি।

বিজয়ীদের মধ্যে জিওফ্রে হিন্টন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। এছাড়া তিনি গুগলের সঙ্গেও কাজ করছেন। যশুয়া বেঙ্গিও মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আর ইয়্যান লেকুন ফেসবুকের এআই পরিচালক।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কম্পিউটার বিজ্ঞানের নোবেল ‘টুরিং’ পুরস্কার পেলেন ৩ জন

আপডেট টাইম : ০৯:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ বছর টুরিং পুরস্কার জিতেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন, যশুয়া বেঙ্গিও এবং ইয়্যান লেকুন। এ পুরস্কারটিকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কার অভিহিত করা হয়।

ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক এবং এআই বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন পুরস্কার প্রাপ্তির অভিব্যক্তি সম্পর্কে বিবিসি নিউজকে বলেন, ‘আমরা তিনজনই নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছি। অবশেষে স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে। মানুষ এই প্রযুক্তির সঙ্গে আত্মস্থ হতে শুরু করেছে।’

এআই প্রযুক্তি মূলত একটি গভীর স্নায়ু নেটওয়ার্ক যেখানে অনেকগুলো কৃত্রিম নিউরন বিভিন্ন স্তরে ব্যবহার করা হয়। জীবন্ত প্রাণী মস্তিষ্কের গঠনকে অনুকরণ করেই এই প্রযুক্তিটি উদ্ভাবিত হয়েছে।

এই প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়েই চলেছে। বর্তমানে স্মার্ট স্পিকার থেকে ফেসবুক-মানুষের দৈনন্দিন সকল কাজেই এআই এর ব্যবহার চোখে পড়ছে। এই ডিপ লার্নিং প্রযুক্তিটিকে খুবই প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চালকবিহীন গাড়ি থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের অন্যান্য সকল প্রযুক্তি সমূহেই এর দেখা মিলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অন্যান্য সকল প্রযুক্তির মতোই এটিও এখনও পর্যন্ত ত্রুটিহীন নয়।

অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি ২০১৯ সালের টুরিং পুরস্কারের জন্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে গবেষণা প্রস্তাব করে। ফলশ্রুতিতে অনেকগুলো একক এবং যৌথ প্রস্তাবনা জমা পড়ে। আর সেখান থেকেই এই তিনজনকে বেছে নেয় সংস্থাটি।

বিজয়ীদের মধ্যে জিওফ্রে হিন্টন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। এছাড়া তিনি গুগলের সঙ্গেও কাজ করছেন। যশুয়া বেঙ্গিও মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। আর ইয়্যান লেকুন ফেসবুকের এআই পরিচালক।

তথ্যসূত্র : বিবিসি