হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের আট বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিতব্য ই-কমার্স মেলার উদ্বোধন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ২৩ মার্চ ঢাকার জিপিওতে অবস্থিত ডাক ভবনে কেক কেটে এ ই-কমার্স মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আঁতুড়ঘরেই মৃত্যুর মুখে পড়েছিল দেশের ই-কমার্স খাত। আজ থেকে চার বছর আগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সে অবস্থা থেকে ই-কমার্স খাতটিকে আজকের এ সুসংহত অবস্থানে নিয়ে এসেছে ই-ক্যাব। এরই মধ্যে ব্যবসায়ের ডিজিটাল রূপান্তর শুরু হয়েছে। ডাক বিভাগের পার্সেল ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরে দেশের ই-কমার্স ব্যবসাকে আরও দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ডাক বিভাগের যে নেটওয়ার্ক আছে তা কাজে লাগাতে পারলে আগামী ১০ বছরেও প্রতিষ্ঠানটিকে কেউ পেছনে ফেলতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি লাভবান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে। শিগগিরই ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মল বলেন, আমরা ই-পোস্ট সেবা চালুর পর এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি পণ্য ডেলিভারি দিতে সফল হয়েছি, একটি পণ্যও খোয়া যায়নি। ২০০’র বেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এখন আমাদের সেবা নিচ্ছে। ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-কমার্স সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দেশজুড়ে বিভাগ ভিত্তিক ই-কমার্স মেলার আয়োজন করেছি। ই-কমার্স সেবাকে প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে পোস্ট অফিসে নেটওয়ার্কের কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক জামি ও পরিচালক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, দারাজ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক ও ই-ক্যাবের সদস্যরা।
ই-ক্যাব ও ডাক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ৩০ মার্চ থেকে দেশের আট বিভাগে জাতীয় ই-কমার্স মেলা শুরু হচ্ছে। ‘ই-কমার্সের ডাক’ সোগানে ৩০ মার্চ চট্টগ্রামে, ৬ এপ্রিল রাজশাহীতে, ১৩ এপ্রিল সিলেটে, ২০ এপ্রিল খুলনায়, ২৭ এপ্রিল রংপুরে, ৪ মে বরিশালে, ১১ মে ময়মনসিংহে ও ১৮ মে ঢাকায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিভাগীয় পর্যায়ে দিনব্যাপী এ ই-কমার্স মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে দারাজ, পার্টনার হিসেবে রয়েছে এটুআই ও তথ্য আপা। এছাড়াও মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করছে চালডাল, রকমারি, এসএসএলকমার্জ ও কমম্পিটার জগৎ, গিকি সোশ্যাল ও দিনরাত্রি।