আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারনে সিঙ্গাপুর মাউথ এলিজাবেত হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের ভৈরবপুর গ্রামে।

জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার রাজনীতি জীবন শুরু করেন এবং ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী দেশের ১৯ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন।

তিনি ৫ বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার সহধর্মনী ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী শহীদ বেগম আইভি রহমান। তার এক ছেলে নাজমুল হাসান পাপন ও দুই মেয়ে তানিয়া এবং ময়না। স্বাধীনতার পর তিনি ভৈরব-কুলিয়ারচর এলাকা থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ তার পরিবার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। তার মধ্য সকাল ৮ টায় বনানী কবরস্হানে মরহুমের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল এবং বিকেলে তার গুলশানস্হ বাসায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্হিত থাকবেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে তার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্মস্থান ভৈরবে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচী গ্রহন করা হয়। এই উপলক্ষে আজ সকালে দলীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হবে।একইভাবে তার ভৈরবস্থ বাসায় কোরআন খতম ও দোয়া আয়োজনসহ মিলাদ অনুষ্ঠান হবে আজ বিকেলে। এতে দলীয় নেতাকর্মীরাসহ মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, গুনগ্রাহী, বন্ধু বান্ধব উপস্হিত থাকতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ ভৈরবে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম মরহুম মেহের আলী মিয়া এবং তিনি ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবি। তিনি ভৈরব কেবি হাইস্কুল থেকে ১৯৪৫ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করে ঢাকা কলেজে লেখাপড়া করেন। তারপর ১৯৫৪সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সসহ মাস্টার্স করেন। পরে এল এল বি ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি দেশের জন্য নানা সংগ্রাম, লড়াই, আন্দোলন করে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর সামরিক সরকার তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

১৯৯১ সালে তিনি বিরুধী দলের নেতা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি মন্ত্রী হন। ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুঃসময়ে তিনি দলের হাল ধরে দলকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করেন। এরপর ২০০৯ সালে তাকে রাষ্ট্রপতি করা হলে তিনি ২০১৩ সালের ২০ মার্চ মারা যান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর