অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৮টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৮টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে ৪৭টি মরদেহ ইতোমধ্যেই নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে থাকা ১৯টি মরদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাই এসব মরদেহের দাবিদার ৩২ জনের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে সিআইডি।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও সিআইডি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা জেলা ডিসি অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল্লা আল মাফুজ সাংবাদিককে বলেন, আমরা গতকাল রাত পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। আজ সকালে একটি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এখন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আরেকটি মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) (ডিএমপি-ঢাকা) মুনশি আবদুল লোকমান জানান, সকালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার নাটেশ্বর ইউনিয়নের মির্জানগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও একই গ্রামের মো. জাফর আহমেদের মরদেহ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার। মঞ্জুর মরদেহ নম্বর ৪১ ও জাফরের ৬১। তবে তাদের ডিএনএ নমুনাও নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন সাংবাদিককে বলেন, গতকাল থেকে আজকে দুপুর পর্যন্ত ১৯টি অজ্ঞাত পরিচয়ের মরদেহের বিপরীতে আমরা এখন পর্যন্ত দাবিদার ৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমরা এখন অপেক্ষা করছি মরদেহের দাবিদার আর কোনো স্বজন আসে কিনা। কেউ আসলে আমরা তাদেরও ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করব।

এর আগে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগে চকবাজারের ওয়াহেদ ম্যানসনে। ওই ভবনে থাকা কেমিক্যালের গোডাউন থাকার কারণেই মূলত আশপাশের ভবনগুলোতে আগুন ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পযর্ন্ত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর