হাওর বার্তা ডেস্কঃ টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি সোগান নিয়ে ১৯-২১ মার্চ তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হতে যাচ্ছে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জনপ্রিয় প্রদর্শনী ১৫তম বেসিস সফটএক্সপো-২০১৯।
এবারের বেসিস সফটএক্সপো যৌথভাবে আয়োজন করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিস। পাশাপাশি বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সিপেরিয়েন্স জোন পার্টনার হিসেবে থাকছে Leveraging ICT for Growth, Employment and Governance Project (LICT) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
এ উপলক্ষে বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এলআইসিটির প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম এবং এলআইসিটির কম্পোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ।
বেসিসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বেসিস সফটএক্সপো-২০১৯-এর আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান এবং সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ।
সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। বেসিস সফটএক্সপো আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরা। পাশাপাশি এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অংশগ্রহণ থাকছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বেসিস দীর্ঘদিন থেকেই একযোগে কাজ করছে। এবারের বড় পরিসরে আয়োজিত বেসিস সফটএক্সপো-২০১৯ আমরা যৌথভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বেসিস আয়োজিত তথ্যপ্রযুক্তির বৃহত্তম এই প্রদর্শনীতে এবার প্রায় আড়াইশ দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য ও সেবা প্রদর্শনের সুযোগ থাকছে। প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন সংযোজন ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে উইমেন জোন, ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য থাকছে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন, যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। আয়োজন করা হবে করপোরেট আওয়ার, যেখানে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক করপোরেট হাই অফিসিয়াল। শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প আর বরাবরের মতো গেমিং ফেস্ট তো থাকছেই।