হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিতর্কিত ক্রিকেটার সাব্বির রহমানকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে অবগত নন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে রাখা হয়েছে সাব্বিরকে।
গত বছরের আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় এক সমর্থককে ফেসবুকে গালাগাল দেয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন সাব্বির। সে অনুযায়ী মার্চের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ ছিল না সাব্বিরের।
বিসিবি সভাপতির কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত না, সাব্বিরকে অন্তর্ভুক্তির কারণটা কী। দেখেন, আপনারা সবাই জানেন, স্কোয়াড সিলেকশনে আগে আমি বেশি জড়িত ছিলাম কিন্তু গত তিন চার মাস ধরে আমি একেবারেই আলাদা। এটা ওদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।
এদিকে সাব্বিরকে দলে নেয়ার ব্যাপারে দল ঘোষণার দিন অধিনায়ক মাশরাফির কোটে বল ঠেলে দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি জানিয়েছিলেন, অধিনায়ক মাশরাফির তীব্র আগ্রহেই সাব্বিরকে দলে রাখতে হয়েছে তাদের।
এদিকে সাজার সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি সাব্বির। বিসিএল ও জাতীয় লিগে দু’একটা ইনিংস খেললেও ধারাবাহিকতা ছিল না। এবার বিপিএলের শুরু থেকেও সাব্বির ছিলেন রান খরায়। প্রথম ছয় ম্যাচে রান না পেলেও সপ্তম ম্যাচে গিয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করেন ৫১ বলে ৮৫ রান। তারপর আবারো সেই অফফর্ম।
ওই এক ইনিংসেই তিনি দলে ফিরতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নে নান্নু বলেন, আমি পরিষ্কার করে দেই। এটা সম্পূর্ণ আমাদের অধিনায়কের পছন্দের। ও খুব জোরালো ভাবে আমাদেরকে দাবি জানিয়েছে। এবং আমরা দুজনই এই পক্ষে একমত হয়েছি।
আসলে বাস্তবতা কি? ক্রিকেট বোর্ডের সর্ব্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হয়েও সাব্বিরকে দলে নেয়ার ব্যাপারে কিছুই জানেন না পাপন। তবে কী সাব্বির কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় বাংলাদেশ দলে! এমন প্রশ্নে ভারি হয়ে উঠেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন!