হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল তুলতে কংগ্রেস অনুমোদন না দিলে ‘জাতীয় দুর্যোগ বা জরুরী অবস্থা (national emergency)’ ঘোষণা করে ওই দেয়াল নির্মাণ করা হবে। প্রবীণ ডেমোক্রেট, যারা দেয়াল নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দে সম্মতি দেয়নি, তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে কংগ্রেস সদস্যের এই বিরোধের কারনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে এসব সরকারি অফিসের কর্মচারীরা ক্রিসমাসের সময়ও বেতন পাননি।
গত তিন সপ্তাহ ধরে এই মার্কিন সরকার আংশিকভাবে অচল রয়েছে এবং ট্রাম্প জানান এটা বছরের পর বছর ধরেও চলতে পারে।
প্রায় আট লাখ ফেডারেল কর্মচারী গত ২২ ডিসেম্বর থেকে বেতন পাননি।
মার্কিন গণমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকা জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন শাটডাউন বা সরকারের কাজকর্ম সাময়িক বন্ধ থাকার বিষয় নিয়ে কংগ্রেশনাল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তিনি আশা করেন সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে এ অবস্থার দ্রুত অবসান ঘটবে।
হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রথমে তিনি বলেন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে চলমান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আংশিক শাটডাউন বা কাজকর্ম সাময়িক বন্ধ থাকার অবস্থা মাসের পর মাস বা বছর পর্যন্ত গড়াতে পারে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, শক্তিশালী সীমান্ত দেয়াল নির্মাণে অর্থ বরাদ্দে রাজী না হলে এ অবস্থা চলবে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এ অবস্থা বেশীদিন চলবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে সমঝোতা হলেই সরকারের কাজকর্ম চালু হবে’।
সমঝোতা না হলে প্রেসিডেন্ট জরুরী ক্ষমতাবলে কিছু করবেন কিনা এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ তেমন হলে তিনি তা করতেও পারেন’। সেই ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে আমরা দ্রুত সীমান্ত দেয়াল করতে পারি। আমি তা করিনি। তবে করতেও পারি’।
তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে সম্পূর্ণ কংক্রিটের দেয়াল না করে ইস্পাতের দেয়াল তুললে আরো ভালো হবে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, জানায় ভোয়া।