জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কবল থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারীর গল্প। নাম তার সুখী বেগম। চ্যানেল ৪ নিউজে এক সাক্ষাৎকারে পালিয়ে আসার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসা ‘আমার কাছে এক পেয়ালা চা নয়’। সুখী বেগম (৩৩) তার পাঁচ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী জামাল আল-হারিথকে খুঁজতে সিরিয়া যান।
চ্যানেল ৪ নিউজের খবরে বলা হয়, তার স্বামী এক সময় গুয়ানতানামো বে’র কারাগারে বন্দী ছিলেন। ১৮ মাস আগে ব্রিটেন ছেড়ে তিনি আইএসে যোগ দেন।
সুখী বেগম ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল থেকে আইনে স্নাতক। জোর দিয়ে তিনি বলেন, কেবল তার স্বামীকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে সিরিয়া গিয়েছিলেন তিনি। আইএসকে কখনই সমর্থন করেন না।
আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বুধবার ব্রিটেনের চ্যানেল ৪ নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আইএসের বিকল্প নাম আইএসআইএস বলে উল্লেখ করেন সুখী বেগম।
তিনি বলেন, খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে আইএস। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার স্বামীকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করবো।
সুখী বেগমকে প্রথমে আইএস নিয়ন্ত্রিত রাকা নগরীর একটি নিরাপদ কক্ষে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুর সঙ্গে রাখা হয়।
তার সঙ্গে রাখা অন্য নারী ও শিশুদের অনেকেই কাঁদছিল। শারীরিকভাবে তারা দুর্বল ছিল। সুখী বেগম বলেন, তবে অবিবাহিত নারীদের মধ্যে গ্যাংস্টার ভাব ছিল। তারা সহিংসতা, যুদ্ধ ও হত্যা নিয়ে কথা বলতো।
তিনি বলেন, তারা ল্যাপটপ খুলে আইএসআইএসের ভিডিও দেখতো এবং নিজেরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করত। এ অভিজ্ঞতা আমার কাছে কেবল চায়ের পেয়ালা নয়।
সুখী বেগম বলেন, একসময় তিনি তার স্বামীর কাছে যান। তার স্বামী তাকে সিরিয়া ছাড়তে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি আইএস কর্তৃপক্ষও সিরিয়া ছাড়ার অনুমতি দেয়নি।
চ্যানেল ৪-এর খবরে বলা হয়, তিনি পাচারকারীদের সহায়তায় আইএসের কবল থেকে পালিয়ে আসেন এবং এরপর আলেপ্পো নগরীতে আটক হন তিনি।
বর্তমানে তিনি তুরস্কের সঙ্গে সীমান্তবর্তী শহরে রয়েছেন। তিনি ব্রিটেনে ফিরতে চান।