ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে সুস্থ রাখবে সাদা তিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ১২ বার

বাঙালি রান্নায় খুব বেশি তিলের ব্যবহার হয় না। তবে শীতের মরসুমে অনেকেই বাড়িতে তিলের নাড়ু বানান, কেউ আবার বানিয়ে ফেলেন বরফি। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের মৌসুমে ডায়েটে নিয়মিত তিল খাওয়া জরুরি। তিল দিয়ে কেবল রান্নার স্বাদ বাড়ানো যায় তাই নয়, সাদা তিলের কিন্তু স্বাস্থ্যগুণও আছে। শীতকালে যখন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, তখন স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হলে কেন তিলকে অবহেলা করা যাবে না, জেনে নিন তার কারণ।

ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ভরপুর তিল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ উপকারী। শীতের মৌসুমে তিল খেলে শরীরের ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।

তিলে ভালো মাত্রায় ফাইবার থাকে। তাই তিল খেলে বিপাকহার বাড়ে। ডায়াবেটিকদের জন্যেও বেশ উপকারী তিল। যেকোনো সংক্রমণে ডায়াবেটিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাবতে হয়। ফলে শীতকালে ডায়াবেটিসের রোগীদের বিশেষভাবে প্রয়োজন পড়ে তিলের।

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক তাদের শীতকালে ভোগান্তি বাড়েয়। এই মৌসুমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও তিল খেতে পারেন। তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।

সাদা তিলের মধ্যে এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে এমনিতেই হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কোনো মতেই কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে দিলে চলবে না এই সময়। তাই শীতের মৌসুমে তিল রাখা বেশি উপকারী।

শীতকালে খাওয়াদাওয়া বেশি হয়, তাই পেটের সংক্রমণ বেশি হয়। তিল কিন্তু হজমে সাহায্য করে। তাই শীতকালে সালাদে হোক বা রান্নায় নিয়ম করে তিল খাওয়া যেতেই পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শীতে সুস্থ রাখবে সাদা তিল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

বাঙালি রান্নায় খুব বেশি তিলের ব্যবহার হয় না। তবে শীতের মরসুমে অনেকেই বাড়িতে তিলের নাড়ু বানান, কেউ আবার বানিয়ে ফেলেন বরফি। পুষ্টিবিদদের মতে, শীতের মৌসুমে ডায়েটে নিয়মিত তিল খাওয়া জরুরি। তিল দিয়ে কেবল রান্নার স্বাদ বাড়ানো যায় তাই নয়, সাদা তিলের কিন্তু স্বাস্থ্যগুণও আছে। শীতকালে যখন সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত, তখন স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হলে কেন তিলকে অবহেলা করা যাবে না, জেনে নিন তার কারণ।

ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ভরপুর তিল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ উপকারী। শীতের মৌসুমে তিল খেলে শরীরের ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।

তিলে ভালো মাত্রায় ফাইবার থাকে। তাই তিল খেলে বিপাকহার বাড়ে। ডায়াবেটিকদের জন্যেও বেশ উপকারী তিল। যেকোনো সংক্রমণে ডায়াবেটিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাবতে হয়। ফলে শীতকালে ডায়াবেটিসের রোগীদের বিশেষভাবে প্রয়োজন পড়ে তিলের।

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। যাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক তাদের শীতকালে ভোগান্তি বাড়েয়। এই মৌসুমে ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও তিল খেতে পারেন। তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে।

সাদা তিলের মধ্যে এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে এমনিতেই হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কোনো মতেই কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে দিলে চলবে না এই সময়। তাই শীতের মৌসুমে তিল রাখা বেশি উপকারী।

শীতকালে খাওয়াদাওয়া বেশি হয়, তাই পেটের সংক্রমণ বেশি হয়। তিল কিন্তু হজমে সাহায্য করে। তাই শীতকালে সালাদে হোক বা রান্নায় নিয়ম করে তিল খাওয়া যেতেই পারে।