হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভূতের কথা শুনলেই গা ছমছম করে ওঠে অনেকের। বাস্তবে ভুত আছে কি না এ নিয়ে তর্কের শেষ নেই। কোনো পরিত্যক্ত বাড়ি বা স্থানকে আমরা ‘ভুতুড়ে’ হিসেবে উল্লেখ করতে পছন্দ করি। তবে শুধু একটা বাড়ি নয়, চীনের সাংহাই থেকে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত হোউতোউওয়ানে বিশাল একটা রহস্যময় ‘ভুতুড়ে গ্রাম’ আছে। একসময় গ্রামটিতে কয়েক হাজার লোক বাস করত।
কিন্তু ধীরে ধীরে গ্রামটি থেকে সবাই চলে গেছে। কেন চলে গেছে তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। গ্রামের বাড়িঘর আসবাবসহ বিভিন্ন স্থাপনা কিছুই নিয়ে যায়নি বাসিন্দারা। বছরের পর বছর ধরে এগুলো অক্ষত আছে। বর্তমানে এটি নামকরা পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
নির্জন গ্রামটির সব বাড়ি সবুজ লতাপাতায় ঢেকে অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়িগুলোর ভিত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আইভিলতার শিকড়। পুরো গ্রাম যেন ঢাকা পড়ে গেছে মায়াবি সবুজে। জানা গেছে, একসময় ৩ হাজারের বেশি লোকের বসতি ছিল এই গ্রাম। সুখেই কাটতো সবার দিন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ১৯৯০ এর দশকের দিকে একে একে গ্রাম ছাড়তে শুরু করে বাসিন্দারা। কমতে শুরু করে গ্রামের লোকসংখ্যা। এক পর্যায়ে তা শূন্য হয়ে পড়ে। কালের সাক্ষী হয়ে কেবল দাঁড়িয়ে থাকে গ্রামবাসীদের বাড়িঘর, আসবাব ও নানা জিনিসপত্র।
ধীরে ধীরে গ্রামটির খবর প্রচার হবার পর পর্যটকদের আগ্রহ বাড়তে থাকে। সাংহাই কর্তৃপক্ষ গ্রামটিকে বেছে নিয়েছে তাদের অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে। প্রতিষ্ঠা করেছে স্টারবাকস নামে সুবিশাল রেস্তোরাঁ। হোউতোউওয়ানে এখন পর্যটকদের নিয়মিত আনাগোনা। সবুজের মায়ায় ঘেরা গ্রামটি দেখে মুগ্ধ তারা। গ্রামটির সৌন্দর্য উপভোগ করার উপযুক্ত সময় হল গ্রীষ্মকাল। কারণ এ সময় সবুজ লতাপাতায় ছেয়ে যায় এটি।-সিএনএন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক