ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খেতে পারেন খেজুর-কিশমিশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৩৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা বিশ্বে দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্করা নন, কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে।ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। এটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি, হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে এই রোগ প্রতিরোধ করা দরকার।

সম্প্রতি ‘নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াবেটিস’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত খেজুর অথবা কিশমিশ কিংবা দুটিই একসঙ্গে খান তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক উপকারও পাওয়া যাবে। যেমন-

১. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খেলে দেহের ভিতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

২. কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমতে সময় লাগে না। ফলে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হজমশক্তি বাড়ে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে ত্বকের ক্ষতি রোধ করা যায়।

৩. বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রাতকানাসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপও কমে।

৪. কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে খেতে পারেন খেজুর-কিশমিশ

আপডেট টাইম : ০৪:২৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সারা বিশ্বে দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শুধু বয়স্করা নন, কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে।ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। এটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি, হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের নানা অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে এই রোগ প্রতিরোধ করা দরকার।

সম্প্রতি ‘নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াবেটিস’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা নিয়মিত খেজুর অথবা কিশমিশ কিংবা দুটিই একসঙ্গে খান তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক উপকারও পাওয়া যাবে। যেমন-

১. একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খেজুর খেলে দেহের ভিতরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

২. কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমতে সময় লাগে না। ফলে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে হজমশক্তি বাড়ে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে ত্বকের ক্ষতি রোধ করা যায়।

৩. বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর খাওয়ার পাশাপাশি যদি নিয়মিত এই ফলটির পাতা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভিতরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রাতকানাসহ অন্যান্য চোখের রোগের প্রকোপও কমে।

৪. কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।