হাওর বার্তা ডেস্কঃ নেত্রকোণা-২ আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় দলের সমর্থক ও নেতা কর্মীরা পড়েছে বিপাকে। নেত্রকোণা সদর বারহাট্টা -১৫৮ দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসনটি। এখানে ভোটের সংখ্যা-৩,৯৬,২০৮। পুরুষ -১,৫৮,৮৪১ ও নারী-১,৯৭,৩৩৭ জন। বিএনপি দলীয় পক্ষ থেকে চারজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপির সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করায় নির্বাচনের কোনো প্রাণচাঞ্চল্যতা নেই বিএনপির মধ্যে।
আওয়ামী লীগ এই আসনটিতে সাবেক এমপি ও দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু কে দলীয়ভাবে একক মনোয়ন দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে নির্বাচনের উৎফুল্লতার সাথে প্রচারণা ও মিটিং-সভা করে যাচ্ছে। বিএনপির একাধিক প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার কারণে নির্বাচনের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেনা। অপরদিকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় বিএনপির মধ্যে নির্বাচনের আমেজ ফিরে আসছে না।
বিএনপি থেকে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এবং বৈধ প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক ২ বারের এমপি ও একাধিকবার জেলা বিএনপির সভাপতি এবং ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৎকালীর মুক্তিযোদ্ধা মহকুমা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খানকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোয়ন দিয়ে নির্বাচিত করেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রদল ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং বারহাট্টা উপজেলা থেকে প্রথমবারের মত দলীয় মনোনীত প্রার্থী হেসেবে এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, নেত্রকোণা-২ আসনের জনপ্রিয় ও দানবীর এবং বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হাজী মোঃ আবু আব্বাসের সুযোগ্য পুত্র ও যুবদল নেতা আবু হায়দার মোহাম্মদ ইউসুফ (টিপু আব্বাস) ও দেশ বরণ্য চিকিৎসক বিনএপির তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রিয় ব্যক্তি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাক ডাঃ আনোয়ারুল হক।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রত্যাশা চার জনের মধ্যে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে আওয়ামী লীগের নিকট থেকে আসনটি পূন উদ্ধার সম্ভব। একাধিক বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় গ্রাম ও ইউনিয়নের পর্যায়ের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়বি মামলাসহ বিষ্ফোরক সহ একাধিক মামলা থাকায় মাঠে নামতে পারছেনা বিএনপির কর্মীরা।
সূত্রঃ বিডি২৪লাইভ