হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুক্তি পেতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘লিডার’। দিলশাদুল হক শিমুলের পরিচালিত এ ছবিতে ওমর সানি, মৌসুমী ও ফেরদৗেস অভিনয় করেছেন। কিন্তু ছবির কিছু অংশের শুটিং ও ডাবিং না করে ছবিটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই তিন তারকা। এমনকি এই সিনেমা যাতে পুরোপুরিভাবে শেষ না করে মুক্তি না দেয়া হয় সে জন্য ওমরসানী মৌসুমী প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, সেন্সর বোর্ডের কাছে অভিযোগ দেয়ার পরও কীভাবে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ওমরসানী বলেন, ‘লিডার’ সিনেমাটির গল্প শুরুতেই আমার কাছে ভালোলেগেছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ভালোলাগা থাকেনি। একজন পরিচালক একটি সিনেমাকে কীভাবে ধ্বংস করতে পারে আমি শিমুলের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তার বাস্তব প্রমাণ দেখলাম। এই সিনেমায় আমি আর মৌসুমী ডাবিং করিনি। সিনেমার ৬০ ভাগ শুটিং বাকি। এই প্রতারণা কীভাবে শিমুল করেছে তা আমার বোধগম্য নয়। কেন করেছে আমার তা জানা নেই। শিমুল চাইলেই সিনেমাটি শেষ করে তারপর মুক্তি দিতে পারতেন। একবছর আগেই আমি পরিচালক সমিতির কাছে অভিযোগ করেছিলাম। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে শুটিং শেষ করবেন, ডাবিং শেষ করবেন এবং পারিশ্রমিকও দেয়া হবে। কিন্তু কিছুই না করে একটি অসমাপ্ত সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এই যে দর্শকের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে এটা মেনে নেয়া যায় না।
আমি একজন সচেতন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে ‘লিডার’ সিনেমাকে বর্জন করছি। মৌসুমী বলেন, একজন শিল্পী হিসেবে সবসময়ই আমি প্রযোজক পরিচালকদের সহযোগিতা করে এসেছি। কিন্তু শিমুল আমার সঙ্গে যে প্রতারণা করেছেন তা একেবারেই ঠিক হয়নি। একজন মৌসুমী একদিনে তৈরি হয় না। সেই মৌসুমী ভক্তদের সঙ্গে প্রতারণা করা কোনোভাবেই শিমুলের উচিত হবে না। আমার বিশ্বাস শিমুল তার ভুল শুধরে নিয়ে আবার কাজ করবেন এবং যথাযথভাবে সিনেমাটি শেষ করবেন। গাজীপুরে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত এখন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। তিনি এ ছবিটি নিয়ে বলেন, শুটিং এবং ডাবিং কমপ্লিট না করে ছবি রিলিজ হচ্ছে।
এটা নিয়ে তো আমরা প্রযোজক ও শিল্পী সমিতিতে অভিযোগও করেছিলাম। একটা সিনেমা নিয়ে এত ঝামেলার কথা শুনলে খুব খারাপ লাগে আমার। একটা সিনেমা বানানোর সময় আমরা শিল্পীরা এত পরিশ্রম করি তারপরও এরকম ঘটনাগুলো জানলে খুব কষ্ট লাগে। তারপরও শিল্পীরা মনের দিক দিয়ে সবসময়ই উদার এবং তার প্রথম ছবি এজন্য ‘অল দ্য বেস্ট ফর হিম’। তবে, ভালো সিনেমা বানানোর আগে একজন পরিচালকের ভালো মন-মানসিকতা প্রয়োজন। আমি দোয়া করি, পরিচালক শিমুলের মনে যেন মনুষ্যত্ববোধটা আরো তীব্রভাবে জন্ম নিক। কারণ এটা খুবই জরুরি।