হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নির্ধারিত ক্ষেত্রসমূহে যথাযথ কর দিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে করদাতাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) আয়কর মেলা উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিপুল অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোডের্র কার্যক্রম আরও জোরদার করারও আহ্বান জানান।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় ও জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি দেশের সম্মানিত করদাতা, রাজস্ব প্রশাসন এবং আয়কর মেলা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনায় অর্থায়নের জন্য রাজস্ব একটি অপরিহার্য উপাদান। রাষ্ট্রীয় কোষাগার সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি বৈদেশিক সহায়তা ও ঋণের ওপর নির্ভরতা কমাতে মূসক (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও আয়কর যথাযথভাবে সংগৃহীত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে রাজস্ব আহরণে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। ফলে বাজেট ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণের কাছে আয়কর একটি জটিল ও ভীতিকর বিষয়। জনগণকে আয়কর দিতে উৎসাহিত করতে আয়কর মেলার আয়োজন কেবল কর সংস্কৃতিতেই নয়, জাতীয় সংস্কৃতিতে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। ‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর আয়কর মেলার প্রতিপাদ্য ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’ নির্ধারণ করা অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে।
এ বছর সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি করদাতা হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত করদাতাগণকে রাষ্ট্রপতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।