হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওর এলাকার হতদরিদ্র নারীদের কর্মস্থান সৃষ্টির জন্য সরকার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
গত বুধবার সকালে রাজধানীর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
‘হাওর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য আয় ও কর্মসংস্থান কর্মসূচির’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এই প্রকল্পটি চারটি জেলার মোট ২৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মেয়াদকাল হবে জুলাই ২০১৮ থেকে জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা শারমিন বেনু, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান, কর্মসূচি পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী চুমকি বলেন, হাওর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত নারী গোষ্ঠীর আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ভাসমান বীজতলা ও বিষমুক্ত সবজি চাষ প্রশিক্ষণ, হাঁস প্রতিপালন প্রদানকরে নারী পুরুষ বৈষম্যহীন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নে এই কর্মসূচি ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করতে হাওর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য আয় ও কর্মসংস্থান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ অঞ্চলের নারীদের জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে। সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, বি-বাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার হাওর অধ্যুষিত এলাকায় আগাম বন্যার ফলে উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় এবং এই এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। বন্যার হাত থেকে মুক্ত করে উক্ত এলাকার পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আয় ও কর্মসংস্থান করা হবে।