ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যানসার রোধে জবা ফুলের চা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫
  • ৫১২ বার

জবা ফুলের রস ও চা রোগ নিরাময়ে বহু আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশে জবা অত্যন্ত পরিচিত একটি ফুল। বাড়িতে যদি জবা ফুলের গাছ থেকে থাকে তাহলে তা অনায়েসে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করতে পারেন।

জবা ফুলের চায়ে রয়েছে উচ্চমানের এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যানসার ও বয়সের ছাপ রোধ করে। সাধারণ চায়ের পরিবর্তে প্রতিদিন হাইবিসকাস টি বা জবা ফুলের চা খেতে পারেন।

উপকারিতা
জবা ঠাণ্ডা ও জ্বরনাশক একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এন্টি-মাইক্রোবায়াল ও হাইপোগ্লিসেমিক সমৃদ্ধ জবা লিভারকে সুরক্ষিত রাখে। এতে রয়েছে এসট্রিনজেন্ট যা প্রস্রাবে প্রদাহ ও শরীরের জ্বালাপোড়া উপশম করে।

যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা জবা ফুলের চা খেতে পারেন। এই চা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের চর্বি কমাবে। এছাড়াও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

জবা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। জবা ফুলের চা শরীরের শোধনকারী হিসেবে কাজ করে ও কিডনি ভালো রাখে। এছাড়াও এর এন্টি-ফার্টিলিটি উপাদান প্রাকৃতিক জন্ম-নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

বাহ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জবা ফুলের রস মাথার ত্বক ও চুলের জন্য টনিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও খুশকি দূর করতে ও চুল পড়া রোধে এটি অনন্য এক উপাদান।

জবা ফুলের চা
জবা ফুলের চা তৈরি করতে বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। এর জন্য লাগবে শুধু গরম পানি, শুকনো জবা ফুল, টি ব্যাগ ও মধু।

প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে টি-পটে দু’চা-চামচ শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি দিন। এবার আলাদা পাত্রে পানি ফুটিয়ে ফুটন্ত পানি টি-পটে ঢালুন। এবার টি-পটের ঢাকনা লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এতে জবার রস পানিতে ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়বে। কাপে টি ব্যাগ রেখে টি-পট থেকে জবা ফুলের চা ঢালুন। প্রয়োজনবোধে মধু মেশান। ফ্লেভার চাইলে দারুচিনি ব্যবহার করতে পারেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্যানসার রোধে জবা ফুলের চা

আপডেট টাইম : ১১:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫

জবা ফুলের রস ও চা রোগ নিরাময়ে বহু আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভারতীয় উপমহাদেশে জবা অত্যন্ত পরিচিত একটি ফুল। বাড়িতে যদি জবা ফুলের গাছ থেকে থাকে তাহলে তা অনায়েসে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহার করতে পারেন।

জবা ফুলের চায়ে রয়েছে উচ্চমানের এন্টি-অক্সিডেন্ট যা ক্যানসার ও বয়সের ছাপ রোধ করে। সাধারণ চায়ের পরিবর্তে প্রতিদিন হাইবিসকাস টি বা জবা ফুলের চা খেতে পারেন।

উপকারিতা
জবা ঠাণ্ডা ও জ্বরনাশক একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এন্টি-মাইক্রোবায়াল ও হাইপোগ্লিসেমিক সমৃদ্ধ জবা লিভারকে সুরক্ষিত রাখে। এতে রয়েছে এসট্রিনজেন্ট যা প্রস্রাবে প্রদাহ ও শরীরের জ্বালাপোড়া উপশম করে।

যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা জবা ফুলের চা খেতে পারেন। এই চা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের চর্বি কমাবে। এছাড়াও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

জবা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপযোগী। জবা ফুলের চা শরীরের শোধনকারী হিসেবে কাজ করে ও কিডনি ভালো রাখে। এছাড়াও এর এন্টি-ফার্টিলিটি উপাদান প্রাকৃতিক জন্ম-নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

বাহ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে জবা ফুলের রস মাথার ত্বক ও চুলের জন্য টনিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও খুশকি দূর করতে ও চুল পড়া রোধে এটি অনন্য এক উপাদান।

জবা ফুলের চা
জবা ফুলের চা তৈরি করতে বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। এর জন্য লাগবে শুধু গরম পানি, শুকনো জবা ফুল, টি ব্যাগ ও মধু।

প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে টি-পটে দু’চা-চামচ শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি দিন। এবার আলাদা পাত্রে পানি ফুটিয়ে ফুটন্ত পানি টি-পটে ঢালুন। এবার টি-পটের ঢাকনা লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এতে জবার রস পানিতে ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়বে। কাপে টি ব্যাগ রেখে টি-পট থেকে জবা ফুলের চা ঢালুন। প্রয়োজনবোধে মধু মেশান। ফ্লেভার চাইলে দারুচিনি ব্যবহার করতে পারেন।