প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা আগামী তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১০টি সিসি ক্যামেরা ও ১০ জন কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা জানান।
রাজধানীর একটি হোটেলে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। যানজট নিরসন, জননিরাপত্তা ও দখল উচ্ছেদসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডিএনসিসি ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলেও সভায় জানানো হয়।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বেশির ভাগ সড়কের ক্যামেরা যার যার বাড়িকেন্দ্রিক। বাড়িতে যদি চুরি-ডাকাতি হয়, খুন হয় তাহলে অপরাধীরা আসবে রাস্তা দিয়ে, বেরিয়ে যাবেও রাস্তা দিয়ে। অফিস-আদালতে যে সিসি টিভি আছে শুধু একটা সিসি ক্যামেরা রাস্তা কাভার করে তাহলেও ৯০ শতাংশ অপরাধ কমাতে পারব।
এ সময় আনিসুল হক বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা আগামী তিন মাসের মধ্যে অন্তত ১০টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও ১০ জন কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করবেন। সিসি ক্যামেরা বসাতে বনানী, বারিধারা, গুলশান ও নিকেতন এলাকার জন্য সাত কোটি এবং ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকার জন্য দশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র।
সভায় আরেকটি তথ্যচিত্রে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ডিএনসিসি এলাকার যানজটের কারণ ও নিরসনে সম্ভাব্য করণীয় তুলে ধরে। এতে যানজট নিরসনে তেজগাঁও এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ড অপসারণ, কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ, ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কার, সড়কবাতি সঠিকভাবে জ্বালানো, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালে ইউলুপ নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দুই-চারজন পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করতে পারে, তা পুরো পুলিশ বিভাগের চিত্র নয়। বলা হয়, ফুটপাত দখলে পুলিশের হাত থাকে। অস্বীকার করি না, উড়িয়ে দেই না। থাকতে পারে। সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিটি ওয়ার্ডে তিন মাসের মধ্যে ১০টি সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ০১:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫
- ৩৪২ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ