প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জন করে দেখিয়ে দেব। তিনি বলেছেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জন করা কঠিন। তবে আমরা বীরের জাতি, এটা অর্জন করব।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, আগে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। এখন তারা সে অবস্থান থেকে সরে এসে বলছে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৫ বা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে। তবে আমি আশাবাদী, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে ৭ শতাংশ। এটা আমরা করে দেখাবো। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমার লক্ষ্য বাংলাদেশকে মযার্দাশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা। বিশ্বের কেউ বাংলাদেশকে ছোট করে দেখলে আমাকে বিষয়টা অনেক কষ্ট দেয়। বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক কথা বললে আমি সহ্য করতে পারি না। ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ১৬ কোটি মানুষের মুখে খাবার দিচ্ছি, এটা সহজ কথা নয়। গরীব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আর এর জন্য সবার দোয়া চাই।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে মতিয়া আপাকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতাম। তখন মানুষকে দেখতাম তাদের গায়ে পোষাক আছে কি না। তখন মানুষের গায়ে একটু কাপড়, পায়ে স্যান্ডেল থাকতো না। এখন বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে গ্রামেও আয় বৈষম্য নেই। প্রতিটি গ্রাম একেকটি ছোট শহরে পরিণত হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই গ্রাম ডিজিটালাইজড হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমডিজির সময় জনগণের নির্বাচিত সরকার হিসেবে আমি ছিলাম। এসডিজির সময়েও আমি জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় আছি। এজন্য আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে, সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করা সম্ভব নয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ এবং তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার প্রাপ্ত হওয়ায় বৈঠকের শুরুতে পরিকল্পনা কমিশন ও একনেক কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।