হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার কয়লা গায়েবের ঘটনায় পঞ্চম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল সংশ্লিষ্ট আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর মধ্যে কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিব উদ্দিন আহমদও রয়েছেন।
এর আগে চার কর্মদিবসে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এসএম নূরুল আওরঙ্গজেবসহ মোট ১৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
বড়পুকুরিয়ার এক লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিকটন কয়লা খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা তদন্তে গত ১৩ আগস্ট পেট্রোবাংলার ৩২ কর্মকর্তাকে তলব করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলমের সই করা দুটি চিঠি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর পাঠিয়ে তাদের তলব করা হয়।
আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন), কোম্পানি সেক্রেটারি আবুল কাশেম প্রধানিয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার, মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হককে।
কয়লা গায়েবের ঘটনায় বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য প্রাক্তন এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে দুদক।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুদ দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক। এরপরই তদন্তের স্বার্থে মামলায় ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার জন্য চিঠি দেয় দুদক।
দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের দলে রয়েছেন সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম।