সকলের প্রদর্শনের উদ্দেশে ব্রিটেনের বামিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে কোরআনের সবচেয়ে প্রাচীন সেই পান্ডুলিপিটি। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে রাখা হবে এবং এটি দেখার জন্য কর্তৃপক্ষকে কোনো অর্থ দিতে হবে না বলে বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনের সবচেয়ে প্রাচীন এই পান্ডুলিপিটি জুলাইতে ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার থেকে মিলেছে। প্রায় এক শতাব্দীর বেশি সময় এটি সেখানে পড়ে ছিল।
কোরআনের এই প্রাচীন পান্ডুলিপির চারটি পাতা প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে।
গবেষকরা কার্বন ডেটিং পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে এই পান্ডুলিপিটি এক হাজার ৩৭০ বছর আগে লেখা। নবী মুহাম্মদের সময়ের কেউ কোরআনের এই পান্ডুলিপি লিখেছেন বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। কোরআনের এই পান্ডুলিপিতে আরবী ভাষার আদি রূপ ব্যবহার করা হয়েছে।
কোরআনের সেই প্রাচীন পান্ডুলিপির প্রদর্শনী শুরু
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুজার ওরাল এই পান্ডুলিপিকে এক ‘অমূল্য বিশ্ব সম্পদ’ বলে বর্ণনা করেছেন। বার্মিংহামের মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারাও কোরআনের এই পান্ডুলিপি আবিষ্কারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বার্মিংহামের কেন্দ্রীয় মসজিদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আফজাল বলেন, প্রথম এই পান্ডুলিপি দেখার পর তিনি আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন। ব্রিটেনের সব জায়গা থেকে মানুষ এই পান্ডুলিপি দেখতে আসবে বলে তিনি আশা করছেন।
‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষা থেকে গবেষকদের অনুমান, এই কোরআন লেখা হয়েছে ৫৬৮ হতে ৬৪৫ খ্রীষ্টাব্দের মাঝামাঝি কোন সময়ে।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক ডেভিড থমাস বলেন, এর মানে হচ্ছে এই পান্ডুলিপি হয়তো ইসলামের গোড়াপত্তনের সময়ের কয়েক বছরের মধ্যে লেখা। এটি লেখা হয়েছে ‘হিজাজী আরবী’ ভাষায়।
মুসলিমদের বিশ্বাস মতে, ৬১০ সাল হতে ৬৩২ সালের মধ্যে কোরআন নাযিল হয়।