হাওর বার্তা ডেস্কঃ দীর্ঘদিন পর জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। বিশেষ করে সমুদ্রে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। ভরা মৌসুমের টানাপোড়েনের পর শুক্রবার ২৮টি ফিশিং বোট বরিশাল মোকামে এসে পৌঁছেছে। ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুই হাজার মণের বেশি ইলিশ উঠেছে মোকামে। যে কারণে দামও কমেছে। মোকাম হয়ে উঠছে সরগরম। মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এ মাসেই নদ-নদীতেও ইলিশ ধরা পড়বে। বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে মৎস্য কর্মকর্তা (হিলশা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, অনেকটা সময় তারা অপেক্ষায় ছিলেন। মৌসুম সত্ত্বেও কেন ইলিশ ধরা পড়ছে না তা নিয়ে চিন্তা ছিল।
তবে গভীর সমুদ্র থেকে অনেকগুলো ফিশিং বোট এসেছে। প্রায় দুই হাজার মণ সাগরের ইলিশ উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। এ ইলিশের ওজন ৫শ’ থেকে ৭-৮শ’ গ্রাম। সামদ্রিক এ ইলিশ মণপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা দরে। তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার জন্য মাছ ধরা যাচ্ছে না। তবে সামনের আমাবশ্যায় জোয়ারের পানির সঙ্গে সাগর ছেড়ে নদীতে ইলিশ প্রবেশের মোক্ষম সময়। এখনই সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে বলে ফিশিং বোটের জেলেদের বরাত দিয়ে তিনি জানান।
এদিকে মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের মোকাম। মৎস্য শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা কয়েক মাস তারা অলস সময় কাটিয়েছেন। এখন হয়তো সুদিন ফিরবে। নগরীর পাড়া-মহল্লায়ও অনেক খুচরা বিক্রেতাকে ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে এ ইলিশের প্রভাব তেমন একটা পড়েনি খুচরা বাজারে। সেখানে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এ রুপালি ইলিশ। এ ব্যপারে মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক ড. মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সবে মাত্র ইলিশ আশা শুরু করেছে। গত বছরও আগস্টের শেষ দিকে ইলিশ ধরা পড়া শুরু হয়। বরিশাল মোকামে সাগরের ইলিশ এসেছে। তিনি বলেন, এ মাসের মধ্য ভাগে ব্যাপক ইলিশ ধরা পড়বে বলে মনে হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাদের চেষ্টার কমতি থাকবে না বলে মৎস্য অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান জানান।