ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৪ দলের বৈঠকে শাজাহান খানের সমালোচনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮
  • ২৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে শরিক দলের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, নৌমন্ত্রী তাচ্ছিল্যপূর্ণ বক্তব্য ও ব্যাঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আন্দোলনকে উস্কে দিয়েছেন। তার বক্তব্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষিপ্ত হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।

বৈঠকে ১৪ দল নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক উল্লেখ করে এ আন্দোলনকে পরিবহন খাতের  নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বলে মন্তব্য করেছে। ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনকে ‘কিশোর বিদ্রোহ’ আখ্যায়িত করে ১৪ দলের নেতারা বলেন, ‘আমরা যুবক বা পূর্ণ বয়সে যেটা পারিনি।

গণপরিবহনে যে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দীর্ঘদিন ধরে চলছে তা এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ৯ দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ১৪ দলের নেতারা বলেন, পরিবহন খাত একটি মাফিয়ার হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই মাফিয়া চক্রের হাত থেকে এ খাতকে উদ্ধার করতে হবে। এজন্য তারা দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নসহ এ খাতের সংস্কারের প্রস্তাব করেন।

পরিবহন খাতে সংস্কারে যে ‘স্টাডি রিপোর্ট’ রয়েছে তার সুপারিশ বাস্তবায়নের কথাও বলেন তারা। এ প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া গতকাল সাংবাদিককে বলেন, বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। শাজাহান খান তার আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা এখন আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে, এখন পর্যন্ত সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সব দাবি দাওয়া মেনে নেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১৪ দলের বৈঠকে শাজাহান খানের সমালোচনা

আপডেট টাইম : ১২:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে শরিক দলের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, নৌমন্ত্রী তাচ্ছিল্যপূর্ণ বক্তব্য ও ব্যাঙ্গাত্মক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে আন্দোলনকে উস্কে দিয়েছেন। তার বক্তব্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষিপ্ত হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের বৈঠকের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।

বৈঠকে ১৪ দল নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক উল্লেখ করে এ আন্দোলনকে পরিবহন খাতের  নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বলে মন্তব্য করেছে। ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনকে ‘কিশোর বিদ্রোহ’ আখ্যায়িত করে ১৪ দলের নেতারা বলেন, ‘আমরা যুবক বা পূর্ণ বয়সে যেটা পারিনি।

গণপরিবহনে যে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দীর্ঘদিন ধরে চলছে তা এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ৯ দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ১৪ দলের নেতারা বলেন, পরিবহন খাত একটি মাফিয়ার হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই মাফিয়া চক্রের হাত থেকে এ খাতকে উদ্ধার করতে হবে। এজন্য তারা দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নসহ এ খাতের সংস্কারের প্রস্তাব করেন।

পরিবহন খাতে সংস্কারে যে ‘স্টাডি রিপোর্ট’ রয়েছে তার সুপারিশ বাস্তবায়নের কথাও বলেন তারা। এ প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া গতকাল সাংবাদিককে বলেন, বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। শাজাহান খান তার আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা এখন আন্দোলনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে, এখন পর্যন্ত সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সব দাবি দাওয়া মেনে নেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।