হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে একসময়ে কৃষকদের জমি চাষাবাদের একমাত্র অবলম্বন ছিল গরুর হাল। ক্ষেতে খামারে কৃষকেরা গরুর হাল দিয়ে জমিতে চাষ করে ফলাতো সোনালী ফসল।
এখন গরুর হাল তেমন চোখে পড়ে না। গরুর হালের চাষে জমির ঊর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পেত কয়েকগুণ। বর্তমানে সময় বাচাতে আধুনিক যুগে ডিজেল চালিত পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছে। ফলে পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টরের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামের সেই চিরচেনা গরুর হাল।
সরে-জমিনে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ২/১টি গরুর হাল দেখা গেলেও তা আবার চড়া দাম হওয়ায় কৃষকরা গরুর হাল দিয়ে জমি চাষ করতে চায় না। গরুর হাল তৈরী করতে প্রয়োজন হয় এক জোড়া গরু, কাঠের তৈরী লাঙ্গল, জোয়াল ও মই, তাই গ্রামের কৃষকেরা এত টাকা খরচ করে গরুর হাল তৈরী করতে আগ্রহী নয়। আগের দিনে যারা গরুর হাল বিক্রি করে সংসার চালাতেন তারা আজ অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছেন।
এ পেশায় জড়িত সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মধুপুর গ্রামের রাজকুমার বলেন, এখন গরুর হালের তেমন কদর নেই। মাঝে মাঝে ডাক পড়লেও তাতেও যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। গ্রামের ঐতিহ্য বহন করা কাঠের ‘লাঙ্গল’ একদিন হারিয়ে যাবে হয়তবা ঠাই হবে যাদুঘরে।