হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেঘ মুক্ত খোলা হাওরের শীতল হাওয়ায় মুক্ত পরিবেশে বিশাল সমাজ্যের টাংগুয়ার হাওরে জোছনা দেখতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা ও বাজারের প্রতিটি অলিগলি ছিল সকাল থেকেই ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ন। ছিল টাংগুয়ার হাওরের বুকে হাজার হাজার পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পাদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে তাহিরপুর উপজেলা ও সীমান্ত ঘের্ষা টাংগুয়ার হাওর ও তার আশপাশের এলাকা গুলো। তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল তাহিরপুর থানা পুলিশ। ব্যাপক নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন বলেন জানান তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন্দন কান্তি ধর। এই সাথে সবাইকে রাতে নিরাপত্তার স্বার্থে টাংগুয়ার হাওরে অবস্থান না করে ট্যাকেঘাট পুলিশ ফাড়িঁ ও তার আশ পাশে নৌকা নিয়ে অবস্থানের কথা সবাইকে বলে দিয়েছেন।
টাংগুয়ার হাওর ও তাহিরপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবস্থায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,শুক্রবার (২৭জুলাই) সকালে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা লাইট্রেস,নোহা,পাজেরো,লেগুনা দিয়ে উপজেলা সদরে এসেই নৌকা যোগে কয়েক হাজার পর্যটক টাংগুয়ায় রাত্রি যাপন করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মূল উদ্দেশ্য জোছনা দেখা সাথে হাওরের নির্মল আনন্দের জন্য ভ্রমণপিপাসুরা দলে দলে টাংগুয়ার হাওরে অবস্থান করার জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করেই ছুটছেন। অনেকেই আবার দুপরের খাবার সেরেছেন নৌকার মধ্যে। অনেকেই আবার নিজ নিজ পরিবারের সকল সদস্যকেও সাথে নিয়ে এসেছেন এই মহা আনন্দ ক্ষনের স্বাক্ষী হতে। সকাল হতেই তাহিরপুর সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ চত্বরে পর্যটকদের পদচারণা মুখরিত হয়ে উঠে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আসা পর্যটকরা তাহিরপুর বাজার নৌকা-ঘাট হতে অর্ধশতাধিক ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা এছাড়াও ছোট ছোট নৌকা রয়েছে আরো অর্ধশতাধিক নৌকা ভাড়া করে দলে দলে টাংগুয়া হাওরের দিকে ছুটে চলছে টাংগুয়ার হাওর,বারেকটিলা,শিমুল বাগান,যাদুকাট নদী,শহীদ সিরাজ লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায়। শুক্রবার ও শনিবার দু’রাত টাংগুয়ার হাওরের জোছনা দেখতে পর্যটকরা নৌকার মধ্যেই রাত্রি যাপন করবেন সেই সাথে টাংগুয়ার হাওরের বুকে জোছনা উপভোগ করবেন বলে জানান রাজধানী।
ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকগন জানান-আমরা সকল বন্ধু-বান্ধব মিলে আজ টাংগুয়ার হাওরে রাত্রি যাপন করব এবং নৌকার মধ্যেই আমরা রাতের খাওয়া-দাওয়া করব। টাংগুয়ার হাওরে জোছনা দেখব বলে পরিকল্পনা ছিল প্রায় মাস খানেক ধরেই। তবে বৃষ্টি কারনে হয় ত জোছনা দেখা না ও হতে পারে।
তাহিরপুরের নৌকা ঘাটের একাধিক মাঝি জানান,শুক্রবার টাংগুয়ার হাওরে শতাধিক নৌকায় প্রচুর পর্যটকগন বন্ধু,বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে গেছেন। হাওরে রাতে থাকবেন বলে নৌকা রিজাব করে। যার জন্য এই উপজেলার একটি নৌকাও নেই। অন্য উপজেলা থেকে নৌকা এনেও সামাল দিতে পারছেন না কেউ। তাহিরপুর বাজারের একাধিক দোকানীগন জানান,আজ অন্য দিনের তুলনায় বেচা কেনা ভাল হয়েছে। আজকে প্রচুর মানুষ উপজেলায় এসেছে। সবার উদ্দেশ্য টাংগুয়ার হাওরে রাতে জোঁছনা দেখা আর এই উপজেলার অন্যন্যা দর্শনীয় স্থান গুলো দেখা।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলেছেন,মঙ্গল উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে সূর্যকে। তার ফলে,মঙ্গল তার কক্ষপথে এক বার সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে (পেরিহিলিয়ন) থাকে। আর এক বার থাকে দূরতম (অ্যাপিহিলিয়ন) বিন্দুতে। মঙ্গল তার কক্ষপথে পেরিহিলিয়ন বিন্দুতে থাকার কাছাকাছি সময় যদি প্রতিযোগ হয়,তা হলে মঙ্গল আরও কাছে চলে আসে পৃথিবীর। এটাকেই বলে,‘ফেভারেব্ল অপোজিশন বা সুবর্ণ প্রতিযোগ। শুক্রবার দিবাগত রাত এই সুবর্ণ প্রতিযোগই হবে মঙ্গলের। তার ফলে,‘লাল গ্রহ’কে আরও উজ্জ্বল দেখাবে রাতের আকাশে।
তিনি আরো বলেছেন,‘মঙ্গল তার কক্ষপথে পেরিহিলিয়ন বিন্দুতে থাকবে ১৬সেপ্টেম্বর। মঙ্গলের এই সুবর্ণ প্রতিযোগ হয় প্রতি ১৫বা ১৭বছর অন্তর। পরবর্তী সুবর্ণ প্রতিযোগ হবে ১৭বছর পর। ২০৩৫-এর ১১সেপ্টেম্বর। তখন মঙ্গল ও পৃথিবীর দূরত্ব কমে হবে প্রায় ৫কোটি ৬৯লক্ষ কিলোমিটার।