ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুলাই ২০১৮
  • ৪৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওরে চলেছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন তিনটি উপজেলা নিয়ে এই হাওরাঞ্চল। একসময়ের পিছিয়ে পড়া এই জনপদে ছিলো না কোন শহুরে সুবিধা, ছিলোনা বিদ্যুত, শিক্ষা, চিকিৎসা বা যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা। স ব মিলিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতো এই অঞ্চলের মানুষগুলো। তবে বর্তমানে চিত্রটা ভিন্ন। হাওরে বুকে চলছে গাড়ি, প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুত, চিকিৎসাসহ যাতায়াত ব্যবস্থায় এসেছে বিপুল পরিবর্তন।

সম্প্রতি হাওরের অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে তিন উপজেলার নির্মানাধীন সংযোগ সড়ক, ব্রীজ, কালভার্ড ইত্যাদি। অষ্টগ্রাম উপজেলায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্রীজ নির্মানের মাধ্যমে পাঁচটি ইউনিয়নের সাথে বারো মাস যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে অষ্টগ্রাম উপজেলা কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা ভবন। ৫০শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যুক্ত হয়েছে নতুন অত্যাধুনিক ভবন ও গাড়ি। সরকারিকরণ হয়েছে একটি স্কুল ও একটি কলেজ।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তার পাকাকরণ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব রাস্তার পাকাকরণের কাজ প্রায় ৮০শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষাক্ষেত্রে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। যোগাযোগ খাতে অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর সাব মার্সেবল রাস্তা অষ্টগ্রামের মানুষের যোগাযোগে এনছে নতুন মাত্রা। যেখানে আগে জেলা শহর কিশোরগঞ্জে নদীপথে লঞ্চ-ট্রলারে করে আসতে সময় লাগতো সাত থেকে আট ঘন্টা সেখানে মাত্র সময় লাগছে সড়কপথে দেড় থেকে দুই ঘন্টা।

শিক্ষা খাতে অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও একমাত্র রোটারি ডিগ্রী কলেজ সরকারিকরণ হওয়ায় এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে এসেছে স্বস্তি। একটা সময় এ এলাকার ছেলে মেয়েদের বৃহৎ অংশ কৃষি কাজ বা পরিবারের হাল ধরার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতো। ফলে শিক্ষা নামের শব্দের সাথে ছিলো না পরিচয়। বর্তমানে প্রতিটি পরিবারের ছেলে মেয়েরা শিক্ষালাভ করছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।

স্কুল শিক্ষার্থী বাবুল মিয়ার সাথে কথা বললে সে জানায়, আগে আমরার লেহাপড়া করতে কষ্ট অইতো। অহন ইশকুল সরকারি অওনে লেহাপড়া করতাম পারতাছি। নিজের বাড়িত থাইক্যা লেহাপড়া কইরা সংসারের বিভিন্ন কামে সাহায্য করতাম পারি। কলেজ শিক্ষার্থী উম্মে সালমা জানান, নিজ এলাকায় একটি সরকারি কলেজ হওয়াতে আমরা আনন্দিত। একটা সময় উচ্চ শিক্ষার জন্য আমাদেরকে পাড়ি জমাতে হতো শহরের বিভিন্ন কলেজে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তা কষ্টকর হয়ে পড়তো। তবে রোটারী ডিগ্রী কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় কম খরচে নিজ এলাকায় থেকে আমরা লেখাপড়া শিখে জ্ঞান অর্জন করতে পারছি।

কলেজ অধ্যক্ষ মুজতবা আরিফ খান হাওর বাংলাকে জানান, রোটারি ডিগ্রী কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে তবে সারকারি কার্যক্রম শুরু হয়নি। কার্যক্রম শুরু হলে কলেজটি এই পিছিয়ে পড়া হাওরাঞ্চলে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সহযোগিতায় আমাদের অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। কলেজের লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো ১ হাজার ৫০০ অধিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। আমাদের কলেজে শূন্য টাকায় একজন শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ লেখাপড়া শেষ করার সুযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রতিটি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। উপজেলার বাঙ্গালপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, খয়েরপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫০০ পরিবারের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছেছে।

বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের কৃষক চাঁন মিয়া জানান, বিদ্যুত আওনে আমারার খুব উফকার অইছে। বিদ্যুতের লাইগ্যা পোলাপান রাইতে লেহাপড়া করতো পারতোনা। রোজ ৫০ টেহার কেরাসিন লাগতো। অহন পোলাপান সুন্দরমতো লেহাপড়া করতো পারে।

উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস এর সাথে কথা বলেলে তিনি হাওর বাংলাকে জানান, আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। যা চেয়েছি পেয়েছি, যা চাইনি তাও পেয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন ডেপুটি স্পীকার হন ঠিক তখন থেকেই আসলে আমাদের উন্নয়ন শুরু। প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ আমাদের শেষে হয়েছে। আন্তঃ উপজেলা সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষের দিকে। মহাপরিকল্পনা হিসেবে রয়েছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাধ, ঢাকার সাথে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার উপর দিয়ে মহাসড়ক, হবিগঞ্জ জেলার সাথে তিন উপজেলার সংযোগ সড়ক ইত্যাদি। উন্নয়ন হচ্ছে অনেক তবে ভয় হয় এসব রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে। আমাদের উপজেলার প্রতিটি গ্রামের অভ্যন্তরীন রাস্তাঘাটের পাকাকরণ কাজ প্রায় শেষ। উন্নয়ন আগে চোখে দেখিনি। পিছিয়ে পড়া এই জনপদে এখন উন্নয়নের মহাযজ্ঞ।

স্থানীয় সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি তনয় রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি হাওর বাংলাকে জানান, এক সময়ের পিছিয়ে পড়া এই জনপদে এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, রাস্তাঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। ভবিষ্যতে এসব এলাকার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে এলাকায় বিভিন্ন ধরণের কল-কারখানা গড়ে তোলা হবে। হাওরের মান উন্নয়নে সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া ইটনা উপজেলার রায়টুটী, মৃগা ইউনিয়নসহ অন্যান্য গ্রামের প্রায় ১৫০০ পরিবার, মিঠামইন উপজেলার কাটখাল, উড়িয়াকান্দি গ্রামে ২৫০ ও কোলাহানিগ্রামসহ তিন উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার নতুন বিদ্যুত সংযোগ পেয়েছে। এসব উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে সেটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ

আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হাওরে চলেছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন তিনটি উপজেলা নিয়ে এই হাওরাঞ্চল। একসময়ের পিছিয়ে পড়া এই জনপদে ছিলো না কোন শহুরে সুবিধা, ছিলোনা বিদ্যুত, শিক্ষা, চিকিৎসা বা যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা। স ব মিলিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতো এই অঞ্চলের মানুষগুলো। তবে বর্তমানে চিত্রটা ভিন্ন। হাওরে বুকে চলছে গাড়ি, প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুত, চিকিৎসাসহ যাতায়াত ব্যবস্থায় এসেছে বিপুল পরিবর্তন।

সম্প্রতি হাওরের অষ্টগ্রাম-ইটনা-মিঠামইন উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে তিন উপজেলার নির্মানাধীন সংযোগ সড়ক, ব্রীজ, কালভার্ড ইত্যাদি। অষ্টগ্রাম উপজেলায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ব্রীজ নির্মানের মাধ্যমে পাঁচটি ইউনিয়নের সাথে বারো মাস যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে অষ্টগ্রাম উপজেলা কমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা ভবন। ৫০শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যুক্ত হয়েছে নতুন অত্যাধুনিক ভবন ও গাড়ি। সরকারিকরণ হয়েছে একটি স্কুল ও একটি কলেজ।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তার পাকাকরণ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব রাস্তার পাকাকরণের কাজ প্রায় ৮০শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষাক্ষেত্রে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। যোগাযোগ খাতে অষ্টগ্রাম-বাজিতপুর সাব মার্সেবল রাস্তা অষ্টগ্রামের মানুষের যোগাযোগে এনছে নতুন মাত্রা। যেখানে আগে জেলা শহর কিশোরগঞ্জে নদীপথে লঞ্চ-ট্রলারে করে আসতে সময় লাগতো সাত থেকে আট ঘন্টা সেখানে মাত্র সময় লাগছে সড়কপথে দেড় থেকে দুই ঘন্টা।

শিক্ষা খাতে অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও একমাত্র রোটারি ডিগ্রী কলেজ সরকারিকরণ হওয়ায় এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে এসেছে স্বস্তি। একটা সময় এ এলাকার ছেলে মেয়েদের বৃহৎ অংশ কৃষি কাজ বা পরিবারের হাল ধরার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতো। ফলে শিক্ষা নামের শব্দের সাথে ছিলো না পরিচয়। বর্তমানে প্রতিটি পরিবারের ছেলে মেয়েরা শিক্ষালাভ করছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।

স্কুল শিক্ষার্থী বাবুল মিয়ার সাথে কথা বললে সে জানায়, আগে আমরার লেহাপড়া করতে কষ্ট অইতো। অহন ইশকুল সরকারি অওনে লেহাপড়া করতাম পারতাছি। নিজের বাড়িত থাইক্যা লেহাপড়া কইরা সংসারের বিভিন্ন কামে সাহায্য করতাম পারি। কলেজ শিক্ষার্থী উম্মে সালমা জানান, নিজ এলাকায় একটি সরকারি কলেজ হওয়াতে আমরা আনন্দিত। একটা সময় উচ্চ শিক্ষার জন্য আমাদেরকে পাড়ি জমাতে হতো শহরের বিভিন্ন কলেজে। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তা কষ্টকর হয়ে পড়তো। তবে রোটারী ডিগ্রী কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় কম খরচে নিজ এলাকায় থেকে আমরা লেখাপড়া শিখে জ্ঞান অর্জন করতে পারছি।

কলেজ অধ্যক্ষ মুজতবা আরিফ খান হাওর বাংলাকে জানান, রোটারি ডিগ্রী কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে তবে সারকারি কার্যক্রম শুরু হয়নি। কার্যক্রম শুরু হলে কলেজটি এই পিছিয়ে পড়া হাওরাঞ্চলে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সহযোগিতায় আমাদের অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। কলেজের লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো ১ হাজার ৫০০ অধিক শিক্ষার্থীদের প্রায় ৮০শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। আমাদের কলেজে শূন্য টাকায় একজন শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ লেখাপড়া শেষ করার সুযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি অষ্টগ্রাম উপজেলার প্রতিটি গ্রামে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। উপজেলার বাঙ্গালপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, খয়েরপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫০০ পরিবারের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছেছে।

বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের কৃষক চাঁন মিয়া জানান, বিদ্যুত আওনে আমারার খুব উফকার অইছে। বিদ্যুতের লাইগ্যা পোলাপান রাইতে লেহাপড়া করতো পারতোনা। রোজ ৫০ টেহার কেরাসিন লাগতো। অহন পোলাপান সুন্দরমতো লেহাপড়া করতো পারে।

উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস এর সাথে কথা বলেলে তিনি হাওর বাংলাকে জানান, আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। যা চেয়েছি পেয়েছি, যা চাইনি তাও পেয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি যখন ডেপুটি স্পীকার হন ঠিক তখন থেকেই আসলে আমাদের উন্নয়ন শুরু। প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ আমাদের শেষে হয়েছে। আন্তঃ উপজেলা সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষের দিকে। মহাপরিকল্পনা হিসেবে রয়েছে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাধ, ঢাকার সাথে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার উপর দিয়ে মহাসড়ক, হবিগঞ্জ জেলার সাথে তিন উপজেলার সংযোগ সড়ক ইত্যাদি। উন্নয়ন হচ্ছে অনেক তবে ভয় হয় এসব রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে। আমাদের উপজেলার প্রতিটি গ্রামের অভ্যন্তরীন রাস্তাঘাটের পাকাকরণ কাজ প্রায় শেষ। উন্নয়ন আগে চোখে দেখিনি। পিছিয়ে পড়া এই জনপদে এখন উন্নয়নের মহাযজ্ঞ।

স্থানীয় সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি তনয় রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি হাওর বাংলাকে জানান, এক সময়ের পিছিয়ে পড়া এই জনপদে এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, রাস্তাঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। ভবিষ্যতে এসব এলাকার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে এলাকায় বিভিন্ন ধরণের কল-কারখানা গড়ে তোলা হবে। হাওরের মান উন্নয়নে সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া ইটনা উপজেলার রায়টুটী, মৃগা ইউনিয়নসহ অন্যান্য গ্রামের প্রায় ১৫০০ পরিবার, মিঠামইন উপজেলার কাটখাল, উড়িয়াকান্দি গ্রামে ২৫০ ও কোলাহানিগ্রামসহ তিন উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার পরিবার নতুন বিদ্যুত সংযোগ পেয়েছে। এসব উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে সেটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের।