ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমরা ডিম খেতে গিয়ে যে মারাত্মক ভুল করি, জেনে নিন এখুনি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮
  • ২৮৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের একটি পছন্দের খাবার হলো ডিম। অনেকের খাবার তালিকায় সকাল বেলা নয়তো রাতের বেলা ডিমথাকবেই। কোলেস্টেরলের ভয়ে প্রতিদিন ডিম খাওয়া থেকে কেউ কেউ বিরত থাকেন। পেটের ভয়ে গরমের দিনে অনেকে ডিম খেতে চান না, খেলেও বড়জোর ডিমের সাদা অংশ। তবে শীতের দিনে নির্ভয়ে ডিম খেতে পারেন।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অর্পিতা ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘এ সব ভয় একেবারেই অমূলক। সব থেকে ভাল প্রোটিনের উৎস ডিম। এতে নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। ‘

ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উৎসও বটে ডিম।

ডিম রান্না করতে কম তেল লাগে। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়। হজম হয় না বলে ডিমের যে বদনাম আছে, তা মোটেই ঠিক নয়। ডিম ঝটপট হজম হয়ে যায়।

ডিমের ক্ষতিকারক কিছু দিকও জানতে হবে। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। ছিদ্র দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ডিমে ঢুকে পড়ে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া পেটের পীড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরমের সময়।

মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমরা ডিম খেতে গিয়ে যে মারাত্মক ভুল করি, জেনে নিন এখুনি

আপডেট টাইম : ১২:০৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমাদের একটি পছন্দের খাবার হলো ডিম। অনেকের খাবার তালিকায় সকাল বেলা নয়তো রাতের বেলা ডিমথাকবেই। কোলেস্টেরলের ভয়ে প্রতিদিন ডিম খাওয়া থেকে কেউ কেউ বিরত থাকেন। পেটের ভয়ে গরমের দিনে অনেকে ডিম খেতে চান না, খেলেও বড়জোর ডিমের সাদা অংশ। তবে শীতের দিনে নির্ভয়ে ডিম খেতে পারেন।

ক্লিনিক্যাল ডায়েটেশিয়ান অর্পিতা ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘এ সব ভয় একেবারেই অমূলক। সব থেকে ভাল প্রোটিনের উৎস ডিম। এতে নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড সঠিক মাত্রায় থাকে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন নামের প্রোটিনটি ভাল মতো থাকে। নিয়মিত মাছ-মাংস না খেলে অবশ্যই ডিম খাওয়া দরকার। ‘

ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল (১৫০-২০০ মিগ্রা) যথেষ্ট থাকলেও ভয় নেই। কারণ সেই কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বাড়ায় না। উল্টে ডিমের লেসিথিন নামের যৌগটি কোলেস্টেরলকে কোষে নিয়ে গিয়ে শক্তি তৈরি করে। সুতরাং শক্তির উৎসও বটে ডিম।

ডিম রান্না করতে কম তেল লাগে। যেটা মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে হয় না। দরকারে সেদ্ধও খাওয়া যায়। হজম হয় না বলে ডিমের যে বদনাম আছে, তা মোটেই ঠিক নয়। ডিম ঝটপট হজম হয়ে যায়।

ডিমের ক্ষতিকারক কিছু দিকও জানতে হবে। ডিমের খোলায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। ডিম বেরোয় পাখির মল বেরোনোর রাস্তা দিয়ে। ছিদ্র দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ডিমে ঢুকে পড়ে। তাই ডিম কখনওই কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ খাওয়া উচিত নয়। খেলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া পেটের পীড়া তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বর্ষাকাল বা গরমের সময়।

মুরগির ডিম বা হাঁসের ডিম দুটোই খাওয়া যায়। কিন্তু হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় সেটি হার্ড বয়েল (অন্তত আধ ঘণ্টা সেদ্ধ) করে খাওয়া দরকার।