হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিঙে গ্রীষ্মকালীন একটি পুষ্টিকর সবজি। তিতে এবং মিষ্টি দুই রকমের ঝিঙেই পাওয়া যায়। তরকারি, সবজি- বিাভিন্নভাবে এটি খাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সবজিটি ওষুধি হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
ঝিঙেতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি আর প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ঝিঙেতে থাকা আঁশ ধীরে ধীরে হজম হয়। এ কারণে এটি দীঘর্ক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ঝিঙেতে প্রচুরে পরিমাণে ভিটামিন সি, রিবোফ্লাবিন, জিংক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়ামসহ প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। যেগুলো শরীরের জন্য দারুন উপকারী।
ঝিঙে রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই সবজি খেলে অনেক ধরনের রক্তের রোগ এড়ানো যায়। যেহেতু ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে এ কারণে এটি হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে কোষ্টকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে বহু বছর ধরে ঝিঙে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই উপমহাদেশে। যেকোন ধরনের ফাঙ্গাল, ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারাতে ঝিঙে খুবই কার্যকরী। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সংক্রমণ সারাতে ঝিঙে গাছের পাতা এবং সবজি অনেকটা অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।
যেকোন ধরনের মৌসুমি অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে ঝিঙে দারুনভাবে কাজ করে। এছাড়া জন্ডিস এবং লিভারের চিকিৎসায়ও ঝিঙে বেশ উপকারী। ঝিঙে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। একারণে ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও এটি উপকারী। ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। এ কারণে হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায়ও এটি কার্যকরী।