ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইফতারে থাকতে পারে শসার স্বাস্থ্যকর সালাদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮
  • ৩৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইফতারে থাকতে পারে শসার সালাদ। শরীরকে বিষমুক্ত করা থেকে শুরু করে পানিশূণ্যতা দূরীকরণে শসার জুড়ি নেই।এটি তরকারি হিসেবে যেমন চলে তেমনটি আবার খাবারের সময় সালাদ হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। এককথায় সালাদের জন্য শসার বিকল্প নেই। জনপ্রিয় এই সবজির নানাবিধ খাদ্যগুণ রয়েছে। ভিটামিন কে, সি, ম্যাগনেশিয়াম, রিবোফ্লোবিন, বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক এসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং সিলিকাসমৃদ্ধ এই সবজির প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে পানির বিকল্প নেই। তাই এই গরমে শসা হতে পারে উত্তর খাবার। তা সালাদ হিসেবেই বা সবজি হিসেবে যেভাবেই গ্রহণ করুন না কেন। নিচে শসার স্বাস্থ্যকর কয়েকটি পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :

ক্ষারের মাত্রা হ্রাস করে : অনেকের দেহে ভুল খাবারের কারণে বেশি এসিড উৎপন্ন হয়। তাদের দেহে কিছুটা ক্ষারীয় অবস্থা বিরাজ করে। শসা দেহে ক্ষারের মাত্রা হ্রাস করে এবং আরাম দেয়।

ত্বকের প্রসাধন : বহুকাল ধরে ত্বকের যত্নে শসা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। ত্বকের ডার্ক সার্কেল, ফোলা ভাব বা অন্যান্য সমস্যাতে শসা জাদুর মতো কাজ করে। সূর্যের রশ্মিতে ত্বক পুড়ে যাওয়া বা চোখের নিচের কালোভাব দূর করতে শসার জুড়ি নেই।

সিলিকার দারুণ উৎস : সৌন্দর্য চর্চায় দারুণ এক খনিজ  সিলিকা। ত্বকের টিস্যুকে শক্তিশালী ও টানটান করে সিলিকা। দেহকে সজীবতা দেয় এটি। এ ছাড়া ইন্টার-সেলুলার সিমেন্ট হিসাবেও কাজ করে সিলিকা। পেশি, ট্যান্ডন, লিগামেন্ট এবং হাড়ের জন্যেও উপকারী।

চুলের যত্নে : সিলিকন ও সালফার চুলের বৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করে। শসার জুসে একটি মিন্টের পাতা এবং গাঁজর মিলিয়ে নিলে কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়।

মূত্রবর্ধক : শসার পানি মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া শসা দেহের বিষাক্ত উপাদান ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের কর দেয়। দেহ থেক ইউরিক এসিড বের করে দেয় শসা। এ সবজির ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুতন্ত্র ও পেশিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।

ওজন কমাতে : যেহেতু ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এতে, কাজেই খাবারে বাড়তি পানি যোগ করে। প্রতি কাপ শসায় ১৬ ক্যালোরি রয়েছে। বেশি বেশি শসা খেলে তৃপ্তি মেলে।

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : শসা দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রদাহবিরোধী উপাদান কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস প্রতিরোধ করে। এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। রক্তচাপ নিয়্ন্ত্রণে রাখে এসব খনিজ। এ ছাড়া রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ইফতারে থাকতে পারে শসার স্বাস্থ্যকর সালাদ

আপডেট টাইম : ০১:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইফতারে থাকতে পারে শসার সালাদ। শরীরকে বিষমুক্ত করা থেকে শুরু করে পানিশূণ্যতা দূরীকরণে শসার জুড়ি নেই।এটি তরকারি হিসেবে যেমন চলে তেমনটি আবার খাবারের সময় সালাদ হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়। এককথায় সালাদের জন্য শসার বিকল্প নেই। জনপ্রিয় এই সবজির নানাবিধ খাদ্যগুণ রয়েছে। ভিটামিন কে, সি, ম্যাগনেশিয়াম, রিবোফ্লোবিন, বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক এসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং সিলিকাসমৃদ্ধ এই সবজির প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে পানির বিকল্প নেই। তাই এই গরমে শসা হতে পারে উত্তর খাবার। তা সালাদ হিসেবেই বা সবজি হিসেবে যেভাবেই গ্রহণ করুন না কেন। নিচে শসার স্বাস্থ্যকর কয়েকটি পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :

ক্ষারের মাত্রা হ্রাস করে : অনেকের দেহে ভুল খাবারের কারণে বেশি এসিড উৎপন্ন হয়। তাদের দেহে কিছুটা ক্ষারীয় অবস্থা বিরাজ করে। শসা দেহে ক্ষারের মাত্রা হ্রাস করে এবং আরাম দেয়।

ত্বকের প্রসাধন : বহুকাল ধরে ত্বকের যত্নে শসা ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। ত্বকের ডার্ক সার্কেল, ফোলা ভাব বা অন্যান্য সমস্যাতে শসা জাদুর মতো কাজ করে। সূর্যের রশ্মিতে ত্বক পুড়ে যাওয়া বা চোখের নিচের কালোভাব দূর করতে শসার জুড়ি নেই।

সিলিকার দারুণ উৎস : সৌন্দর্য চর্চায় দারুণ এক খনিজ  সিলিকা। ত্বকের টিস্যুকে শক্তিশালী ও টানটান করে সিলিকা। দেহকে সজীবতা দেয় এটি। এ ছাড়া ইন্টার-সেলুলার সিমেন্ট হিসাবেও কাজ করে সিলিকা। পেশি, ট্যান্ডন, লিগামেন্ট এবং হাড়ের জন্যেও উপকারী।

চুলের যত্নে : সিলিকন ও সালফার চুলের বৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করে। শসার জুসে একটি মিন্টের পাতা এবং গাঁজর মিলিয়ে নিলে কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়।

মূত্রবর্ধক : শসার পানি মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া শসা দেহের বিষাক্ত উপাদান ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ বের কর দেয়। দেহ থেক ইউরিক এসিড বের করে দেয় শসা। এ সবজির ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুতন্ত্র ও পেশিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।

ওজন কমাতে : যেহেতু ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে এতে, কাজেই খাবারে বাড়তি পানি যোগ করে। প্রতি কাপ শসায় ১৬ ক্যালোরি রয়েছে। বেশি বেশি শসা খেলে তৃপ্তি মেলে।

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে : শসা দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রদাহবিরোধী উপাদান কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস প্রতিরোধ করে। এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রয়েছে। রক্তচাপ নিয়্ন্ত্রণে রাখে এসব খনিজ। এ ছাড়া রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই।