কাজুবাদাম শুধু সুস্বাস্থ্য নয়, সৌন্দর্য ধরে রাখার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারি। নানা পদ্ধতিতে কাজুবাদাম খাওয়া যায়। চূর্ণ করে কেকেও দেয়া যায় প্রোটিনসমৃদ্ধ এই বাদাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন কাজুবাদাম খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে। সৌন্দর্য বাড়ানো এর আরেকটি বিস্ময়কর গুণ।
যে গুণগুলো বিদ্যমান কাজুবাদামে-
সামগ্রিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা: প্রতিদিন একমুঠো কাজুবাদাম খেলে দেহের জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়। এতে চিনির পরিমাণ কম এবং রয়েছে হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী ম্যাগনেশিয়াম। শুধু তাই নয়, কাজুবাদাম শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর মাধ্যমে ওজনও কমায়। ফলে দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
ব্যবহার পদ্ধতি: ছয় থেকে আটটি বাদাম সারারাত দুধ অথবা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন।
চুলের সুরক্ষা: সবধরণের চুলের যত্নে কাজুবাদাম উপকারী। এটি চুলের খুশকি দূর করে। কাজুবাদামের তেল ব্যবহারে চুল মজবুত এবং উজ্জ্বল হয়। বাজারে সহজলভ্য এই তেল অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়েও চুলে দেয়া যায়।
ব্যবহার পদ্ধতি: একটি জবা ফুলের সঙ্গে তিন টেবিল চামচ কাজুবাদামের তেল এবং দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মেশান। মিশ্রনটি একটু গরম করে দশ মিনিট মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। একঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
ত্বকের যত্ন: কাজুবাদামের তেল অথবা এই তেল সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি মুখের ব্রণ এবং কালো দাগ দূর করে। এতে আছে ভিটামিন-ই, যা ত্বককে কোমল করে। শিশুদের ত্বক টানটান করা এবং পেশী বৃদ্ধিতে এই তেল সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ব্যবহার পদ্ধতি: আধকাপেরও কম কাজুবাদামের গুড়ার সঙ্গে চিনি মেশান। এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু এবং একটু কাজুবাদামের তেল মিশিয়ে মুখের স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। দিনে দুবার এই মিশ্রণ মুখে লাগালে এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল হয়।