হাওর বার্তা ডেস্কঃ পেয়ারা মৌসুমি ফল হলেও এখন প্রায় সারাবছরই পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হওয়ায় এটিকে ‘সুপার ফুড’ বলা হয়। বিভিন্ন অসুখ নিরাময়ের জন্য পেয়ারা বেশ কার্যকরী।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে ফাইবার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সেই সঙ্গে ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরে হজম পদ্ধতি ঠিক রাখে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এ কারণে এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্য যেমন উপকারী তেমনি যাদের হজমে সমস্যা হয় তাদের জন্যও কার্যকরী।
ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান। আর পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এজন্য চোখের দৃষ্টি বাড়াতে নিয়মিত পেয়ারা খাওয়া উচিত।
পেয়ারায় বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। একটা কলা এবং পেয়ারায় প্রায় সম পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।
পেয়ারায় থাকা ম্যাগনেশিয়াম মাংসপেশী ও স্নায়ু শিথিল হতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি ৩ এবং বি ৬ থাকায় পেয়ারা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
পেয়ারা রস কোষ্টকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া চিকিৎসায় দারুন কার্যকরী। এটি কান্সারের ক্ষতিকর সেল নষ্ট হতেও সাহায্য করে।
বর্ষাকালে সাধারণত ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ভিটামিন সি যেকোন ধরনের ফ্লু প্রতিরোধ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় । এ কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত পেয়ারার রস খেতে পারেন।
এছাড়া স্কার্ভি নামক চর্মরোগ, ডেঙ্গু জ্বর এবং দাঁত ব্যথার জন্যও পেয়ারা বেশ উপকারী।
সূত্র : স্টাইলক্রেজ