হাওর বার্তা ডেস্কঃ মার্কিন গণমাধ্যম ‘গালুপ পোল’এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ৬৩ শতাংশ মার্কিন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঘুমনোর আগে ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন এবং এক ঘণ্টার ব্যবধানে একাধিকবার ফোন চেক করেন।
এই স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের যুগে আমরা প্রত্যেকেই যে দিনের পর দিন অনিদ্রা, নিঃসঙ্গতা, নৈরাশ্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে শান্তিতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি, তা স্বীকার করতে লজ্জা নেই। ইদানীং এই সর্বজনীন সমস্যাগুলি প্রতি ঘরে ঘরে এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে যে আমরা না পারছি স্মার্টফোনের নেশা ছাড়তে, না পাড়ছি এটিকে পুরোপুরি আত্মসাৎ করে ভাল কোনও কাজে লাগাতে।
মার্কিন গণমাধ্যম ‘গালুপ পোল’এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ৬৩ শতাংশ মার্কিন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঘুমনোর আগে ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন এবং এক ঘণ্টার ব্যবধানে একাধিকবার ফোন চেক করেন।
অন্য একটি মার্কিন গণমাধ্যম ‘কম্পিউটারস ইন হিউম্যান বিহেভিয়ার’- এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, যারা অন্য ঘরে ফোন রেখে ঘুমান তাদের ঘুম ভাল হয়।
আপনি যে ঘরে ঘুমোন সেই ঘরে ফোন থাকলে এই সমস্যাগুলিতে ভুগতে পারেন:
১) ক্রনিক স্লিপ ডেপ্রিভেশন।
২) কারণে অকারণে উদ্বিগ্ন হওয়া।
৩) সম্পর্কের সমস্যা।
২০১৮ সালে একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল ৯৫ জনকে নিয়ে। তাদের দু’টি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। ৪৯ জনকে বলা হয়েছিল সারা সপ্তাহ ফোন ছাড়া থাকতে আর বাকি ৪৫ জনকে প্রতিদিনের মতোই ফোন ব্যবহার করতে। ফোন ছাড়া যারা ছিল, তাদের মধ্যে এই পরিবর্তনগুলি দেখা গিয়েছিল:
১) ফোন ছাড়া থাকার একটা অভ্যেস গড়ে উঠেছিল।
২) উদ্বিগ্নতায় ভোগা অনেক কমে গিয়েছিল।
৩) অনিদ্রার সমস্যায় ভোগা অনেক কমে গিয়েছিল।
সুতরাং, বোঝাই যাচ্ছে যন্ত্রসভ্যতার সঙ্গে আমাদের সংযোগ এবং নির্ভরশীলতা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তা আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। সুতরাং শান্তিতে থাকার জন্য, সর্বোপরি শান্তিতে ঘুমানোর জন্য ফোন অন্য ঘরে রাখা উচিত।
তথ্যসূত্র: এবেলা