ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

৪০০ বছর ধরে শিশুর কোনো জন্ম নেয়নি যে গ্রামে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮
  • ৪৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখতে সাধারণ গ্রামের মতোই। কিন্তু এই গ্রামের রয়েছে অদ্ভুত এক রীতি। গ্রামটিতে ৪০০ বছর ধরে কোনো শিশু জন্ম নেয়নি। ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায় অবস্থিত শঙ্ক শ্যাম জি গ্রাম। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দাদের দাবি, ষোড়শ শতক থেকে এই গ্রামে শিশু জন্ম দেয়া বন্ধ আছে।

গ্রামের লোকজনের বিশ্বাস, এই গ্রামে সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ রয়েছে। এখানে যদি কোনো শিশু জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুটি হয়তো বিকলাঙ্গ হয়- না হলে শিশুটির মা মারা যায়।

গ্রামের প্রবীণরা জানান, ষোড়শ শতকে গ্রামে একটি মন্দির নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময় এক নারী গম ভাঙতে শুরু করেন। সেই আওয়াজের ফলে নির্মাণকাজে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা। এর ফলে সৃষ্টিকর্তা এই গ্রামের প্রতি অভিশাপ দেন।

তাহলে গ্রামে নারীদের সন্তান হয় কীভাবে? গ্রামবাসীরা জানান, ওই অভিশাপের গল্পের পর থেকে গ্রামের কোনো নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে তার জন্য গ্রামের সীমানার বাইরে তৈরিকৃত একটি ঘরে রাখা হয়। সেখানেই জন্ম হয় নতুন শিশুর।

ওই গ্রামপ্রধান নরেন্দ্র গুর্জর বলেন, মন্দির নির্মাণের সময় সৃষ্টিকর্তা এক নারীর ওপর রেগে গিয়েছিলেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে গোটা গ্রামকে।

তিনি জানান, গ্রামের ৯০ শতাংশ নারী হাসপাতালে সন্তানপ্রসব করেন। জরুরি পরিস্থিতির সময় গ্রামের সীমানার বাইরে যে ঘরটি তৈরি করা হয়েছে সেখানেই সন্তান জন্ম দেন প্রসূতিরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কল্যানমুখী দেশ গড়তে সর্বশ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান- এড.জুবায়ের

৪০০ বছর ধরে শিশুর কোনো জন্ম নেয়নি যে গ্রামে

আপডেট টাইম : ০৬:১৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখতে সাধারণ গ্রামের মতোই। কিন্তু এই গ্রামের রয়েছে অদ্ভুত এক রীতি। গ্রামটিতে ৪০০ বছর ধরে কোনো শিশু জন্ম নেয়নি। ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায় অবস্থিত শঙ্ক শ্যাম জি গ্রাম। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দাদের দাবি, ষোড়শ শতক থেকে এই গ্রামে শিশু জন্ম দেয়া বন্ধ আছে।

গ্রামের লোকজনের বিশ্বাস, এই গ্রামে সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ রয়েছে। এখানে যদি কোনো শিশু জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুটি হয়তো বিকলাঙ্গ হয়- না হলে শিশুটির মা মারা যায়।

গ্রামের প্রবীণরা জানান, ষোড়শ শতকে গ্রামে একটি মন্দির নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময় এক নারী গম ভাঙতে শুরু করেন। সেই আওয়াজের ফলে নির্মাণকাজে ব্যাঘাত ঘটায় ক্ষুব্ধ হন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা। এর ফলে সৃষ্টিকর্তা এই গ্রামের প্রতি অভিশাপ দেন।

তাহলে গ্রামে নারীদের সন্তান হয় কীভাবে? গ্রামবাসীরা জানান, ওই অভিশাপের গল্পের পর থেকে গ্রামের কোনো নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে তার জন্য গ্রামের সীমানার বাইরে তৈরিকৃত একটি ঘরে রাখা হয়। সেখানেই জন্ম হয় নতুন শিশুর।

ওই গ্রামপ্রধান নরেন্দ্র গুর্জর বলেন, মন্দির নির্মাণের সময় সৃষ্টিকর্তা এক নারীর ওপর রেগে গিয়েছিলেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে গোটা গ্রামকে।

তিনি জানান, গ্রামের ৯০ শতাংশ নারী হাসপাতালে সন্তানপ্রসব করেন। জরুরি পরিস্থিতির সময় গ্রামের সীমানার বাইরে যে ঘরটি তৈরি করা হয়েছে সেখানেই সন্তান জন্ম দেন প্রসূতিরা।