কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, যে সরকার পুলিশ দিয়ে এভাবে মানুষ হত্যা করে, সে সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নাই। পাবলিক মারার জন্য আমরা যুদ্ধ করি নাই। আমি দোষী পুলিশদের বিচার চাই না, আমি এ সরকারের বরখাস্ত চাই।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী আসনে পুলিশ দিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যা করে এ সরকার তাদের প্রার্থী দেয়ার নৈতিকতা হারিয়েছে।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী বেতডোবা ফাতেমা হালিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়া মোহাম্মদ হাসান আলী রেজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সদস্য আজাদ সিদ্দিকী, টাংগাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম রফিক, সখিপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আ. হালিম সরকার, সাধারন সম্পদক মীর জুলফিকার আলী, ঘাটাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া ও টাঙ্গাইল জেলা, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতৃবৃন্দ।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, কালিহাতীর উপ-নির্বাচনে গামছা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকারের নির্যাতনের জবাব দিন। লতিফ সিদ্দিকীকে যারা চোখের জলে বুক ভাসিয়েছে গামছায় ভোট দিয়ে তার প্রতিশোধ নিন। দমন পীড়ন ও নির্যাতন করে করে কেউ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পারবে না। গুলি করবে পুলিশ আর আসামি হবে নিরীহ জনগণ, তা হবে না।
তিনি বলেন, পাবলিক মারার জন্য আমরা যুদ্ধ করি নাই। যেখানে ছেলের সামনে মাকে অপমান করা হয়েছে সেখানে অপরাধীর পক্ষ নিয়ে পুলিশ তিনজন নিরীহ মানুষকে গুলি করে মেরেছে। এর বিচার হতেই হবে। পুলিশের গুলিতে কালিহাতী ও ঘাটাইলে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ওই জনসভায় ঘাটাইল পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ঘাটাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগদান করেন।