এবার কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমানো ও নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হুসাইন।
তিনি বলেন, প্রতিবছর কোরবানির সময় জনদুর্ভোগের কথা বলা হয়। এবার জনদুর্ভোগের কথা বলে কোরবানির পশু জবাই করার স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এতে কোরবানির প্রতি মানুষ নিরুৎসাহিত হবে।
আখতার হুসাইন বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলেও সরকার প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ, রথযাত্রা, জন্মাষ্টমীর মিছিল ও রাজনৈতিক সভা সমাবেশে রাস্তা বন্ধ রেখে তা পালনের সুযোগ করে দেয়।
প্রথমবারের মত আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য দুই সিটি করপোরেশনে ৪৯৩টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৮৫টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০৮টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ২০টি স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য সরকার বলেছে, এসব স্থানে কোরবানি করতে কাউকে বাধ্য বা জোর করা হবে না।
মানববন্ধনে সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ‘ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী’ মন্ত্রী-এমপিদের অবিলম্বে অপসারণের দাবিও জানানো হয়।
ঈদুল আজহায় মাদক এবং দেশি-বিদেশি এবং ভারতীয় টিভি চ্যানেলে অশ্লীলতা বন্ধের দাবি তোলা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হুসাইন।
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জাতীয় কোরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক প্রমুখ।