ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরে ধান কাটায় ধীর গতি চলছে, আতঙ্ক বজ্রপাত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮
  • ৪৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জে এবার ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকট, ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের কারণে ধান কাটায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। জেলার বিভিন্ন হাওরজুড়ে পাকা ধান থাকলেও শ্রমিকের অভাবে সেই ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকেরা।

এদিকে ২/৩দিন ধরে থেমে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেশি টাকা দিয়ে শ্রমিক পেলেও বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা।

কাল বৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে বজ্রপাত আতঙ্ক। এখন প্রায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে হতাহতের খবর।

এ নিয়ে দুশ্চিচিন্তায় রয়েছেন হাওর অঞ্চলের গৃহস্থরা। তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন যে তাদের সোনার ধানের কী হবে।  বিগত দুই/তিন বার ধান না পেলেও এবার ধান পাওয়ার পরও কাটতে না পেরে হতাশা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

বৃষ্টির সঙ্গে যদি আবার ব্যাপক শিলা পড়ে, তাহলে সব পাকা ধান ঝরে মাটিতে পড়ে যাবে। সেই ধান আর সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এতে করে ধান চাষ করে লাভ তো দূরে থাক, উল্টো আরোও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক পরিবারগুলো।

আর এভাবে চলতে থাকলে কৃষক পরিবারগুলো ধান চাষে অনাগ্রহী হয়ে উঠবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের শস্য ভাণ্ডারে।

মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটতে আপত্তি না থাকলেও বজ্রপাত আতঙ্কে কেউ মাঠে নামার সাহস পাচ্ছেন না। এ কারণে ধান কাটায় ধীর গতি দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েকদিনের বজ্রপাতে সুনামগঞ্জে ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

Image result for হাওরের ধান কাটার ছবিএখন বৈশাখ মাসের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আগাম জাতের ধান ব্রি-২৮ এখনও পুরোপুরি কাটা শেষ হয়নি। কৃষকদের দাবি করছেন, এখনও ৫০ শতাংশ ধানও কাটা হয়নি হাওরের।

জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরের কৃষক সালাম মিয়া হাওর বার্তাকে বলেন, আমার
হাওরের ১৪ কেদার জমি রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরে ধান কাটায় ধীর গতি চলছে, আতঙ্ক বজ্রপাত

আপডেট টাইম : ০২:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জে এবার ফলন ভালো হলেও শ্রমিক সংকট, ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের কারণে ধান কাটায় দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। জেলার বিভিন্ন হাওরজুড়ে পাকা ধান থাকলেও শ্রমিকের অভাবে সেই ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকেরা।

এদিকে ২/৩দিন ধরে থেমে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেশি টাকা দিয়ে শ্রমিক পেলেও বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটতে চাচ্ছেন না শ্রমিকরা।

কাল বৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে বজ্রপাত আতঙ্ক। এখন প্রায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে হতাহতের খবর।

এ নিয়ে দুশ্চিচিন্তায় রয়েছেন হাওর অঞ্চলের গৃহস্থরা। তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন যে তাদের সোনার ধানের কী হবে।  বিগত দুই/তিন বার ধান না পেলেও এবার ধান পাওয়ার পরও কাটতে না পেরে হতাশা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

বৃষ্টির সঙ্গে যদি আবার ব্যাপক শিলা পড়ে, তাহলে সব পাকা ধান ঝরে মাটিতে পড়ে যাবে। সেই ধান আর সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এতে করে ধান চাষ করে লাভ তো দূরে থাক, উল্টো আরোও ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষক পরিবারগুলো।

আর এভাবে চলতে থাকলে কৃষক পরিবারগুলো ধান চাষে অনাগ্রহী হয়ে উঠবে। যার প্রভাব পড়বে দেশের শস্য ভাণ্ডারে।

মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে ধান কাটতে আপত্তি না থাকলেও বজ্রপাত আতঙ্কে কেউ মাঠে নামার সাহস পাচ্ছেন না। এ কারণে ধান কাটায় ধীর গতি দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েকদিনের বজ্রপাতে সুনামগঞ্জে ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

Image result for হাওরের ধান কাটার ছবিএখন বৈশাখ মাসের ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও আগাম জাতের ধান ব্রি-২৮ এখনও পুরোপুরি কাটা শেষ হয়নি। কৃষকদের দাবি করছেন, এখনও ৫০ শতাংশ ধানও কাটা হয়নি হাওরের।

জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরের কৃষক সালাম মিয়া হাওর বার্তাকে বলেন, আমার
হাওরের ১৪ কেদার জমি রয়েছে।